Samakal:
2025-06-15@22:16:16 GMT

বাংলার চিরায়ত রসনা

Published: 13th, April 2025 GMT

বাংলার চিরায়ত রসনা

পহেলা বৈশাখ বা নববর্ষ প্রাচীন বাঙালির গ্রামীণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। এই দিনে ভালো খাওয়া, ভালো থাকা ও ভালো পরতে পারাকে মানুষ মঙ্গলজনক মনে করত। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এই দিনকে সামনে রেখে মানুষ ব্যবহার্য জিনিসপত্র ধোয়ামোছা করে, ঘর সাজিয়ে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো খাবারের আয়োজন করত। ভালো খাবার বলতে মাছ-মাংস, গরম ভাত, সুগন্ধি ভাত। অঞ্চলভেদে খাবারে ভিন্নতা থাকলেও একটা বিশ্বাস সবার মাঝে ছিল যে, বছরের প্রথম দিন খারাপ খাবার খেলে সারাবছর খারাপ খাবার খেতে হবে। এ বিশ্বাস থেকেই পহেলা বৈশাখে বাসি কিছু না খাবার নিয়ম। বাড়ির বউ-ঝিরা তাই আয়োজন করে এদিন নানান পদের রান্না করেন। এসব রান্নার পেছনেও রয়েছে নানান যুক্তি, নানান ধারণা। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন, বৈশাখে তিতা খেলে রোগবালাই হয় না। এ বিশ্বাসে তিতা শাক যেমন– পাট, গিমা, মেথি কিংবা তিতা করলা ভাজি বা মাছ দিয়ে পাতলা ঝোল বা নানান পদের সবজি দিয়ে শুক্তো রান্না করে খেয়ে থাকেন। কোনো কোনো অঞ্চলের মানুষ টক জাতীয় ফল দিয়ে অম্বল বা খাট্টা রান্না করে থাকেন। আবার কোনো অঞ্চলের মানুষ নানা রকমের ভর্তা, মাছ ভাজা, সবজিকে প্রাধান্য দেন। মূলত বৈশাখের তীব্র তাপদাহে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য হালকা মসলাযুক্ত ঝোল জাতীয় খাবারের প্রচলন। এ ছাড়া গ্রামগঞ্জের বৈশাখী মেলায় দই-মিষ্টি, বিন্নি ধানের খই, সন্দেশ, মুড়ি-মুড়কি, নারকেলের নাড়ু, গরম জিলাপি, নকুলদানা, গজা, বাতাসা ইত্যাদি কেনাবেচা হয়। কালের পরিক্রমায় শহুরে জীবনেও এই সংস্কৃতি বিস্তার লাভ করেছে, যা আজ ‘পান্তা ইলিশ’ সংস্কৃতি নামে পরিচিত। যদিও গ্রামবাংলার বৈশাখী সংস্কৃতির সঙ্গে মেলে না এই শহুরে সংস্কৃতি। সে যা-ই হোক, কোনো সন্দেহ নেই যে পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। পুরাতনকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশে জাতি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সাড়ম্বরে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়। তাই বৈশাখ আমাদের কাছে অনন্য অনুভূতি, আবেগের জায়গা। v

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ