লা লিগায় শিরোপার দৌড়ে বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান কমানো ছিল রিয়াল মাদ্রিদের মূল লক্ষ্য। তবে আলাভেসের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় সহজ হয়নি। ম্যাচের মাঝপথেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কিলিয়ান এমবাপ্পে, যেটি ছিল রিয়ালে যোগ দেওয়ার পর তার প্রথম লাল কার্ড।

ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। এর আগে রাউল আসেনসিওর একটি গোল বাতিল হয় ফাউলের কারণে। কিন্তু লিড নেওয়ার ঠিক চার মিনিট পর ঘটে বিতর্কিত মুহূর্ত, আলাভেসের আন্তোনিও ব্লাঙ্কোর ওপর বেপরোয়া ট্যাকল করে প্রথমে হলুদ কার্ড দেখেন এমবাপ্পে। তবে ভিএআরের সহায়তায় এমবাপ্পেকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি।

এতে দশজন নিয়ে খেলতে নামা রিয়াল পড়ে যায় চাপে। আলাভেসের আক্রমণ সামাল দিতে ৬টি গুরুত্বপূর্ণ সেভ করেন গোলকিপার থিবো কুর্তোয়া। তবে ম্যাচের ৭০ মিনিটে আলাভেসও দশজনের দলে পরিণত হয়, মানু সানচেস লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে কিছুটা স্বস্তি ফেরে রিয়াল শিবিরে।

শেষ পর্যন্ত ব্যবধান রক্ষা করেই জয় তুলে নেয় কার্লো আনচেলত্তির দল। এই জয়ে লিগ শিরোপার লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে গেল তারা। ৩১ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট এখন ৬৬, যেখানে সমান ম্যাচে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৭০।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ল য় ন এমব প প এমব প প আল ভ স

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা

‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’

এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন। 

এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী  বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’

প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ