বৈষম্যবিরোধী নেতার সেলফ স্টিকের আঘাতে মাথা ফাটাল এনসিপি নেতার
Published: 14th, April 2025 GMT
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী নেতার সেলফ স্টিকের আঘাতে মাথা ফাটল উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতার। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত নেতা হলেন উপজেলা এনসিপির সদস্য নাজমুস সাকিব তামিম। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
এ ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলার প্রতিবাদে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেন সংগঠনটির নেতারা। মিছিলটি উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় ‘চাঁদাবাজের ঠিকানা, এ বাংলা হবে না’, ‘নাজমুস সাকিবের ওপর হামলা কেন, প্রশাসনের জবাব চাই’সহ নানা স্লোগান দিতে শোনা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসন বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠান চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দক্ষিণ জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো.
নাজমুস সাকিব তামিম বলেন, ‘শাকিল পরিকল্পনা করেই সেলফ স্টিক নিয়ে এসেছিল। সে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যার উদ্দেশে আমার মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে গেছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দক্ষিণ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাকিল বলেন, ‘বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আমার ছোট বোন জান্নাতুল রেখা ঝর্ণাকে নিয়ে উপস্থিত হয়। এ সময় আমাকে নাগরিক কমিটির কয়েকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে টেনে-হেঁচড়ে কিল-ঘুষি মেরে আহত করেন।’ এ সময় উপস্থিত বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার উভয়পক্ষকে শান্ত করেন।
ওসি জানান, উপজেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠান চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনস প আহত অন ষ ঠ ন উপজ ল এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।