মানসিক চাপ ধীরে ধীরে তৈরি হয়। একদিনের চেষ্টায় এই চাপ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। মানসিক চাপ মোকাবিলা করার জন্য একটি সুশৃঙ্খল লাইফস্টাইল ফলো করা জরুরি। মনোবিদরা বলছেন, টানা তিন মাস একটি সুশৃঙ্খল লাইফস্টাইল ফলো করে মানসিক চাপ কমিয়ে আনা সম্ভব।

ডা. সুব্রত সাহা, কনসালটেন্ট নিউরোথেরাপিস্ট ‘হেলথ ইনসাইডার’ এর একটি পডকাস্টে মানসিক চাপ কমানোর কয়েকটি উপায় উল্লেখ করেছেন। এগুলো হলো—

১.

 আপনি নির্দিষ্ট একটি সময় পরিবারের জন্য রাখুন। সেটা আধা ঘণ্টা হোক, তিরিশ মিনিট হোক বা তার বেশি সময় হোক। ধরুন, রাত সাড়ে দশটা থেকে ১২ টা পর্যন্ত সময়টুকু শুধু আপনার পরিবারের সদস্যদের সময় দিন। 

আরো পড়ুন:

রঙে রঙিন বৈশাখের শাড়ি

বৈশাখী পোশাকে প্রাধান্য পেয়েছে সূচিশিল্প

২. আপনার যদি কোনো পোষ্য থাকে তাহলে দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় পোষ্যের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন।

৩. আপনি যদি কোনো সৃজনশীল কাজ করতে পছন্দ করেন, তাহলে দিনের কাজ শেষ করে একটি নির্দিষ্ট সময়ে নিজের প্রিয় কাজটি করতে পারেন। এতে সময়টা উপভোগ্য হয়ে উঠবে। 

৪. যত কাজই থাকুক, সারাদিনের মধ্যে ছয় থেকে নয় ঘণ্টা অবশ্যই আপনাকে ঘুমাতে হবে। 

৫. প্রত্যেক দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে অল্প সময়ের জন্য হলেও ‘মর্নিং ওয়াক’ করুন। যদি তা করা কোনো ভাবেই সম্ভব না হয় তাহলে ‘ইভিনিং ওয়াক’ করুন। 

৬. হেভি ব্রেকফার্স্ট করুন। লাইটার লাঞ্চ করুন এবং লাইটেস্ট ডিনার করুন। এবং অবশ্যই ডিনারটা রাত আটটার মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। 

এই নিয়মগুলো যদি আপনার লাইফস্টাইলে ফলো করতে পারেন তাহলে আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে আপনি মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলতে পারবেন। 

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ