দোহার উপজেলায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও একটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের পশ্চিমচর কানন গাজীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাত দল ওই বাড়ি থেকে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা লুট করে নেয়।

পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানায়, দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটার দিকে মুখোশ পরা ১০ থেকে ১২ জনের ডাকাত দল অস্ত্রসহ বাড়িতে হানা দেয়। তারা গেটের গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে এবং বাসার লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে।

বাড়ির মালিক কানন গাজী বলেন, ‘প্রথমে তারা আমার হাত–পা বেঁধে ফেলে। পরে নারীদের ভয় দেখিয়ে আলমারির চাবি নেয়। বাড়ির সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের জন্য রাখা সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ও প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।’

এর আগে গত সোমবার গভীর রাতে দোহার উপজেলার সুতারপাড়া এলাকায় ব্যবসায়ী শাহজাহানের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ২৪ ঘণ্টায় দুটি ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ‘সারা রাতই পুলিশ টহলে থাকে। আমরা সংঘবদ্ধ ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। দুটি ঘটনায় পৃথক মামলা হয়েছে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ