চাঁদাবাজিসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা যুবদলের কয়েকটি ইউনিটের ৭ নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মাসুম রেজা মুসা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- বেলকুচি উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য পল্টন জোয়ার্দার, হাফিজুল ইসলাম, পৌর যুবদলের সাবেক সদস্য উজ্জল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মো.
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হলেও কর্ণপাত না করায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং এদের কোনো অপরাধের দায় সংগঠন নেবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, বেলকুচি যুবদলের তৃণমূলের সাধারণ নেতাকর্মীরা উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ঘটনায় সংগঠনটির জেলার ইউনিটে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ দেন৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা থেকে বারবার সতর্ক করার পরও তারা অনৈতিক কাজকর্মে জড়িত থাকায় বাধ্য হয়ে তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের সাংগঠনিক ব্যবস্থা না হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ য বদল স ব ক সদস য য বদল র
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।