ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাবার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার দীঘা পুলিয়াদি গ্রামে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। 

নিহত ওই ব্যক্তির নাম মো. রতন মিয়া। তিনি ওই এলাকার সোরহাব মিয়ার ছেলে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে ঝড়-বৃষ্টির পর নিহত রতন মিয়ার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী রিক্তা আক্তার বাড়ির পানির পাম্পের সুইচ অন করে। পাম্পের তারের লিকেজ থেকে পাশের টিনের বেড়ায় বিদ্যুৎ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় রিক্তা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে তার মায়ের চিৎকারে মেয়েকে বাঁচাতে যান বাবা। পরে রতন মিয়া নিজেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন মেইন সুইচ বন্ধ করে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়মনস হ ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ