ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাবার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার দীঘা পুলিয়াদি গ্রামে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। 

নিহত ওই ব্যক্তির নাম মো. রতন মিয়া। তিনি ওই এলাকার সোরহাব মিয়ার ছেলে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে ঝড়-বৃষ্টির পর নিহত রতন মিয়ার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী রিক্তা আক্তার বাড়ির পানির পাম্পের সুইচ অন করে। পাম্পের তারের লিকেজ থেকে পাশের টিনের বেড়ায় বিদ্যুৎ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় রিক্তা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে তার মায়ের চিৎকারে মেয়েকে বাঁচাতে যান বাবা। পরে রতন মিয়া নিজেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন মেইন সুইচ বন্ধ করে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়মনস হ ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

সমু চৌধুরীর গামছা পরা ছবির আসল গল্প কী, এখন কেমন আছেন তিনি

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনেতা সমু চৌধুরীর একটি ছবি ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যায়, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের একটি মাজারে গামছা পরা অবস্থায় গাছের নিচে তিনি শুয়ে আছেন। গতকাল দুপুরে ছবিটা ছড়িয়ে পড়লে অনেকে জানতে চান, কী হয়েছে অভিনেতার? ছবিটি আসল নাকি শুটিংয়ের? ছবির সূত্র ধরে অভিনেতাকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নের একটি মাজার থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। এরপর রাখা হয় নিরাপদ স্থানে। দিবাগত রাত তিনটায় সেখানে যান সমু চৌধুরীর চাচাতো ভাই রাইসুল ইসলাম এবং অভিনয়শিল্পী সংঘের দুই সদস্য সুজাত শিমুল ও জুলফিকার চঞ্চল। এরপর পুলিশ সবার উপস্থিতিতে সমু চৌধুরীকে পরিবারের জিম্মায় তুলে দেয়। এখন এই অভিনয়শিল্পী যশোর সদরের নতুন বাজারের বাসায় বিশ্রামে আছেন। প্রথম আলোকে আজ শুক্রবার দুপুরে খবরটি নিশ্চিত করেছেন রাইসুল ইসলাম।

রাইসুল জানান, সমু চৌধুরী মাজারভক্ত। কাজ না থাকলে প্রায় সময় তিনি মাজারে যান। এবার ঈদ কাটিয়েছেন যশোরে, মায়ের সঙ্গে। ঈদের ছুটি শেষে গত মঙ্গলবার যশোর থেকে ঢাকার মিরপুরের বাসায় ফেরেন তিনি। পরদিন পরিচিত একজনের সঙ্গে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের একটি মাজারে যান, এক কাপড়ে।

রাইসুল ইসলাম বললেন, ‘এক কাপড়ে ময়মনসিংহ যাওয়াতে কোনো কারণে পরনের কাপড় ময়লা হয়। সেখানে তাঁর কয়েকজন ভক্তও ছিলেন। ময়লা কাপড় ধোঁয়ার পর তা শুকাতে দিয়ে তিনি গামছা পরে গাছের নিচে ঘুমাচ্ছিলেন। বাসায়ও তিনি সাদামাটাভাবে এভাবেই চলাফেরা করেন, লুঙ্গি ও গামছা পরে থাকেন, কখনো এভাবে রান্নাবান্নাও করেন। মাজারে গামছা পরে বিশ্রাম নেওয়ার সময় কেউ একজন ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়। এতে তিনি ওই সময়ে মানসিকভাবে ট্রমাটাইজড হয়ে পড়েন ভাইয়া। তিনি কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ, শারীরিক ও মানসিক—দুইভাবে তিনি ভালো আছেন। আমরা তাঁর কাছে যাওয়ার পর পুলিশের সামনেই বলল, আমার তিন ভাই চলে আসছে, এখন আর কোনো সমস্যা নাই। এরপর আমরা গাড়িতে করে তাঁকে নিয়ে যশোরে চলে আসছি।’

ছেলে সমু চৌধুরীর সেলফিতে মা জয়নব চৌধুরী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সমু চৌধুরীর গামছা পরা ছবির আসল গল্প কী, এখন কেমন আছেন তিনি