টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় ঘোনারচালা গ্রামে আমেনা বেগম (৪৫) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত আমেনা বেগম সৌদি প্রবাসী দুলাল হোসেনের স্ত্রী। 

বৃহস্পতিবার  সকালে বাড়ির পাশের একটি ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতের গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল, আর শরীরে ছিল আঘাতের চিহ্ন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যার পর তার শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার লুট করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পরিবারের বরাতে জানা গেছে, বুধবার রাতে আমেনা বেগম প্রতিদিনের মতো পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে রাতের খাবার শেষ করেন। রাত প্রায় ১০টার দিকে তিনি তার স্বামী দুলাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ঘর থেকে বের হয়ে যান। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি আর ঘরে ফিরে আসেননি।

পরিবার ও প্রতিবেশীরা সারা রাত ধরে খোঁজাখুঁজি করলেও তার কোনো সন্ধান মেলেনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে পাশের ধানক্ষেতে মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে সখীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে এবং তা ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

নিহতের মেয়ে লিতু আক্তার বলেন, আম্মু কিছুক্ষণ আগেও ফোনে আব্বুর সঙ্গে কথা বলছিল। কিছু বুঝে উঠতে পারছি না—কে, কীভাবে, কেন এমন করল! আমাদের কিছুই নেই, কারো সঙ্গে কোনো বিরোধও নেই।

নিহতের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বোন একজন সহজ-সরল গৃহবধূ ছিলেন। কারো সঙ্গে কখনো ঝগড়া বা শত্রুতা হয়নি। আমরা ভাবতেই পারছি না, কীভাবে এই নির্মম ঘটনা ঘটলো।

সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

জাকির হোসেন বলেন, আমেনা বেগমের মরদেহে শ্বাসরোধের চিহ্ন রয়েছে এবং পরনে থাকা স্বর্ণালংকার লুট করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনাটি খুবই স্পর্শকাতর, আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করেছি। দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এবং সম্ভাব্য সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করা হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডের পর ঘোনারচালা গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাত হলে অনেকে ঘরের বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। এলাকাবাসী দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেন, এই এলাকায় এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড এর আগে ঘটেনি। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুব উদ্বিগ্ন। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

নিহতের মেয়ে লিতু আক্তার বাদী হয়ে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং অপরাধীদের শনাক্ত করতে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু

তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। 

রোববার তেহরান দূতাবাস এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞ‌প্তিতে বলা হয়, ইরানে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য দূতাবাস ইমার্জেন্সি হটলাইন স্থাপন করেছে। ইরানে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকদের নিম্নোক্ত মোবাইলফোন নম্বরগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপসহ সরাসরি যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
+ ৯৮৯৯০৮৫৭৭৩৬৮ ও  +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫।

সম্পর্কিত নিবন্ধ