নকশাবহির্ভূত ৫ ভবনের অবৈধ অংশ অপসারণ, জরিমানা
Published: 17th, April 2025 GMT
রাজধানীতে নকশার ব্যত্যয় করে ইমারত নির্মাণের অভিযোগে পাঁচটি ভবনের আংশিক অংশ অপসারণ, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ভবন মালিককে সাড়ে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
আজ বৃহস্পতিবার বংশালের নাজিমউদ্দীন রোড, চকবাজার, ঢাকা ও মাজেদ সরদার সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে রাজউক। সংস্থাটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.
রাজউক সূত্রে জানা গেছে, রাজউকের অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ভবন নির্মাণ করায় পুরান ঢাকার বংশালের নাজিমউদ্দীন সড়কে একটি এবং মাজেদ সরদার সড়কে দুইটি ভবন মালিককে নগদ সাড়ে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে একটি ভবনের ব্যত্যয়কৃত বাকি অংশ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এবং আরেকটি ভবনের বাকি অংশ ৩০ দিনের মধ্যে অপসারণ করবেন বলে ভবনের মালিকেরা ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা প্রদান করেছেন।
এছাড়া নাজিমউদ্দীন রোডের একটি ইমারতের নির্মাণকাজ চলাকালীন রাজউক অনুমোদিত নকশা দেখাতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। ফলে নির্মাণাধীন ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। মাজেদ সরদার রোডে অবৈধভাবে একটি ইমারতের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ায় ভবনের আংশিক অংশ অপসারণ করা হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
এ সময় নাজিমউদ্দীন রোডে আরেকটি ভবনে অভিযানের সময় রাজউক অনুমোদিত নকশা প্রদর্শন করেছেন ও নির্মাণকাজে কোনরকম ব্যত্যয় পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে অকুপেন্সী সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন অথোরাইজ অফিসার মেহেদী হাসান খান, সহকারী অথোরাইজড অফিসার ইসমাঈল হোসেন, প্রধান ইমারত পরিদর্শক আবুল কালাম ও সুজন আহমেদ, ইমারত পরিদর্শক তৌফিক উজ্জামান প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জউক ন জ মউদ দ ন র জউক ভবন র
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।