রাজধানীতে নকশার ব্যত্যয় করে ইমারত নির্মাণের অভিযোগে পাঁচটি ভবনের আংশিক অংশ অপসারণ, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ভবন মালিককে সাড়ে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

আজ বৃহস্পতিবার বংশালের নাজিমউদ্দীন রোড, চকবাজার, ঢাকা ও মাজেদ সরদার সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে  উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে রাজউক। সংস্থাটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.

লিটন সরকারের নেতৃত্বে নির্মাণাধীন ছয়টি ভবনে এই অভিযান চালানো হয়।

রাজউক সূত্রে জানা গেছে, রাজউকের অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ভবন নির্মাণ করায় পুরান ঢাকার বংশালের নাজিমউদ্দীন সড়কে একটি এবং মাজেদ সরদার সড়কে দুইটি ভবন মালিককে নগদ সাড়ে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে একটি ভবনের ব্যত্যয়কৃত বাকি অংশ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এবং আরেকটি ভবনের বাকি অংশ ৩০ দিনের মধ্যে অপসারণ করবেন বলে ভবনের মালিকেরা ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা প্রদান করেছেন।

এছাড়া নাজিমউদ্দীন রোডের একটি ইমারতের নির্মাণকাজ চলাকালীন রাজউক অনুমোদিত নকশা দেখাতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। ফলে নির্মাণাধীন ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। মাজেদ সরদার রোডে অবৈধভাবে একটি ইমারতের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ায় ভবনের আংশিক অংশ অপসারণ করা হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

এ সময় নাজিমউদ্দীন রোডে আরেকটি ভবনে অভিযানের সময় রাজউক অনুমোদিত নকশা প্রদর্শন করেছেন ও  নির্মাণকাজে কোনরকম ব্যত্যয় পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে অকুপেন্সী সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন অথোরাইজ অফিসার মেহেদী হাসান খান, সহকারী অথোরাইজড অফিসার ইসমাঈল হোসেন, প্রধান ইমারত পরিদর্শক আবুল কালাম ও সুজন আহমেদ, ইমারত পরিদর্শক তৌফিক উজ্জামান প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জউক ন জ মউদ দ ন র জউক ভবন র

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ