বাংলাদেশ-পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্কে ভারত দৃষ্টি রাখছে: জয়সওয়াল
Published: 17th, April 2025 GMT
পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক সম্পর্কে দৃষ্টি রাখছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। খবর দ্য ট্রিবিউনের
১৫ বছর পর আজ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের 'ফরেন অফিস কনসালটেশন' (এফওসি) বৈঠকের পর এমন প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত।
ব্রিফিংয়ে প্রতিবেশী দেশে একটি গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক’ গড়ে তুলতে ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক চায়। আমরা গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের পক্ষে।
সাম্প্রতিক বাণিজ্যিক ইস্যু এবং ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা নিয়ে তিনি বলেন, বাণিজ্য বিষয়ক ইস্যুতে, গত সপ্তাহে, আমরা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা নিয়ে একটি ঘোষণা দিয়েছি। আমরা এই ব্যবস্থা নিয়েছি আমাদের বন্দর ও বিমানবন্দরের জট দেখে। কিন্তু আপনাদের আমি মনে করিয়ে দিই, আমরা এ ঘোষণা দেওয়ার আগে বাংলাদেশ সাইডে কী কী হয়েছে সেটি দেখবেন।
ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলেও নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন রণধীর জসওয়াল।
তিনি বলেন, আঞ্চলিক একত্রীকরণ এবং বাণিজ্য বিষয়ক, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা নিয়ে আমাদের যে ঘোষণা, এটি কোনোভাবেই নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে না। দেখুন আমাদের মাথায় আছে, আঞ্চলিক বাণিজ্যকে বর্ধিত করার প্রয়োজনীয়তা আছে। আর আমি এভাবে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে দেখতে চাই। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক এবং ইতিবাচক সম্পর্ক চাওয়া অব্যাহত রেখেছি।
গত ৮ এপ্রিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে তারা। এ সময় বিমানবন্দর ও স্থল বন্দরে পণ্য জটের কথা উল্লেখ করে তারা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’