কুয়েটে গ্রাফিতি আঁকলেন শিক্ষার্থীরা
Published: 18th, April 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার দুই মাস পূর্তিতে ক্যাম্পাসে ‘শোকের গ্রাফিতি-এক দফার ডাক’ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার বিকাল ৫টায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে গ্রাফিতি একে কর্মসূচি পালন করেন তারা।
গ্রাফিতিতে ‘ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ’, ‘স্টেপ ডাউন মাসুদ’, ‘বাহ ভিসি চমৎকার সন্ত্রাসীদের পাহারাদার’সহ বিভিন্ন স্লোগান লিখেন তারা। এ কর্মসূচিতে অংশ নেয় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। এছাড়া ১৮ ফেব্রুয়ারি হামলার বিভিন্ন ফুটেজ প্রজেক্টরে প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ১৮ ফেব্রুয়ারি হামলার পর ক্যাম্পাসে আঁকানো গ্রাফিতি কুয়েট প্রশাসন মুছে দেয়। এ কারণে তারা তাদের এক দফা দাবি উপাচার্যকে অপসারণের পক্ষে আবার নানা গ্রাফিতি দেয়ালে তুলে ধরেছেন। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তারা দেশবাসী ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরতে চান যে কুয়েটের ছাত্ররা ভালো নেই। তারা বলেন, এক দফা দাবিতে তারা অনড় রয়েছেন। উপাচার্যকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।
প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও বহিরাগতদের সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত হন। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি কুয়েট সিন্ডিকেটের সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য হল ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গত ১৩ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলন করছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’