হঠাৎ আইপিএলে ব্যাট নিয়ে তোলপাড় কেন
Published: 18th, April 2025 GMT
আইপিএলে হঠাৎ করেই আলোচনায় ক্রিকেট ব্যাট। এ টুর্নামেন্টে মাঠেই ব্যাটসম্যানের ব্যাটের আকার পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাই প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ কেন এ পদক্ষেপ?
আইপিএল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে শুরুতে কিছু জানায়নি। তাই ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
ধুমাল বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমরা এ পদক্ষেপ নিয়েছি যেন কারোরই মনে না হয় যে কেউ অযৌক্তিক সুবিধা পাচ্ছে। ক্রিকেটীয় চেতনা ও খেলার ন্যায্যতা বজায় রাখতে বিসিসিআই ও আইপিএল সব সময় এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা সবচেয়ে উন্নত মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করছি যেন সব সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করা যায় এবং ম্যাচগুলো অন্যায্যভাবে প্রভাবিত না হয়।’
ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, ব্যাট ও বলের ভারসাম্য আনতেই আইপিএল কর্তৃপক্ষ এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ব্যাটসম্যানরা যেন ভারী ব্যাট ব্যবহার করে বাড়তি সুবিধা না পান, সেটা নিশ্চিত করতেই গেজ দিয়ে ব্যাট পরীক্ষা করা হচ্ছে।
ব্যাট–বলে ভারসাম্য আনতেই ব্যাট পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।