আইপিএলে হঠাৎ করেই আলোচনায় ক্রিকেট ব্যাট। এ টুর্নামেন্টে মাঠেই ব্যাটসম্যানের ব্যাটের আকার পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাই প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ কেন এ পদক্ষেপ?

আইপিএল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে শুরুতে কিছু জানায়নি। তাই ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

ধুমাল বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমরা এ পদক্ষেপ নিয়েছি যেন কারোরই মনে না হয় যে কেউ অযৌক্তিক সুবিধা পাচ্ছে। ক্রিকেটীয় চেতনা ও খেলার ন্যায্যতা বজায় রাখতে বিসিসিআই ও আইপিএল সব সময় এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা সবচেয়ে উন্নত মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করছি যেন সব সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করা যায় এবং ম্যাচগুলো অন্যায্যভাবে প্রভাবিত না হয়।’

ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, ব্যাট ও বলের ভারসাম্য আনতেই আইপিএল কর্তৃপক্ষ এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ব্যাটসম্যানরা যেন ভারী ব্যাট ব্যবহার করে বাড়তি সুবিধা না পান, সেটা নিশ্চিত করতেই গেজ দিয়ে ব্যাট পরীক্ষা করা হচ্ছে।

ব্যাট–বলে ভারসাম্য আনতেই ব্যাট পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ