বাঁশের মাচা তৈরি নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিপুল সেখ (৩৫) নামে এক যুবককে হাতুড়িপেটা করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। 

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে পৌরসভার রামবাড়ি মহল্লায় ঘটনাটি ঘটে। শাহজাদপুর থানার ওসি আছলাম আলী বিষয়টি জানান।

নিহত বিপুল একই মহল্লার মাজেদ আলীর ছেলে।

আরো পড়ুন:

টঙ্গীতে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তাদের মা: পুলিশ

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্য চেয়ে কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি

শাহজাদপুর থানার ওসি আছলাম আলী বলেন, “বিপুল তার বাড়ির পাশে একটি বাঁশের মাচা তৈরি করছিলেন। এতে বাধা দেন একই মহল্লার শহিদুল ইসলাম ও তার লোকজন। পরে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বিপুলকে তারা হাতুড়িপেটা ও হাঁসুয়া দিয়ে আঘাত করেন। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় বিপুলকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত ১১ টার দিকে তিনি মারা যান।”

তিনি আরো বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়ছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”

ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য অভ য গ

এছাড়াও পড়ুন:

এখনো অভিনয়ের রানি হয়ে আছেন শাবানা

চার দশক ধরে এমন সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা মানুষের মনে গেঁথে গেছে। নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়। বাংলা সিনেমাপ্রেমীরা শাবানার নাম শুনলে আবেগপ্রবণ হন, গর্ব বোধ করেন। ২৫ বছর আগে অভিনয়কে বিদায় জানানো শাবানা এখনো কোটি বাঙালির হৃদয়ে অভিনয়ের রানি হয়ে আছেন।

বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনয়ের এই রানির আজ জন্মদিন। ১৯৫২ সালে আজকের দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। সে হিসেবে ৭৩ বছর পূর্ণ করে ৭৪–এ পদার্পণ করলেন শাবানা।

মাত্র আট বছর বয়সে সিনেমায় অভিনয়ে নাম লেখান শাবানা। এহতেশাম পরিচালিত ‘নতুন সুর’ নামের ছবিতে তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ‘চকোরী’ ছবিতে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় শুরু। ২৫ বছর ধরে অভিনয় থেকে দূরে সরে আছেন চলচ্চিত্রের গুণী এই অভিনয়শিল্পী।

অভিনয়জীবনে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় হুট করেই যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান তিনি। শুরুর দিকে নিউইয়র্কে থাকলেও এখন স্বামী, সন্তান, নাতি-নাতনি নিয়ে নিউ জার্সিতে থাকছেন।

শাবানা যখন অভিনয় ছেড়ে দেন, তখন ফেসবুক ছিল না। সামাজিক যোগাযোগের অন্য কোনো মাধ্যমও ছিল না। এখন এই বিশেষ দিনে পরিচিত, অপরিচিত সবাই ফেসবুকে নানা কিছু লিখছেন। পুরোনো দিনের অনেক স্থিরচিত্রও পোস্ট করে থাকেন।

জুটি হিসেবে আলমগীরের সঙ্গেই তিনি ১৩০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া রাজ্জাক, ওয়াসিম, উজ্জ্বলের সঙ্গেও অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। পাকিস্তানি নায়ক নাদিমের সঙ্গেও দর্শক তাকে পছন্দ করেছিল।

শাবানার উল্লেখযোগ্য সিনেমা গুলো হল- ‘চকোরী’, ‘মধু মিলন’, ‘অবুঝ মন’, ‘চান্দ সুরজ’, ‘একই অঙ্গে এত রূপ’, ‘ছদ্মবেশী’, ‘ছন্দ হারিয়ে গেল’, ‘চৌধুরী বাড়ি’, ‘সমাধান’, ‘স্বীকৃতি’, ‘ওরা ১১ জন’, ‘অতিথি’, ‘ঝড়ের পাখি’, ‘জননী’, ‘মাটির ঘর’, ‘সখী তুমি কার’, ‘শেষ উত্তর’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘নাজমা’, ‘ভাত দে’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘রজনীগন্ধা’, ‘লালু ভুলু’, ‘মা ও ছেলে’, ‘লাল কাজল’, ‘নালিশ’, ‘ঘরের বউ’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘নতুন পৃথিবী’, ‘হিম্মতওয়ালী’, ‘বাসেরা’, ‘হালচাল’, ‘চাঁপা ডাঙ্গার বউ’, ‘অশান্তি’, ‘বিরোধ’ ও ‘স্বামী স্ত্রী’ ইত্যাদি।

ব্যক্তিগত জীবনে ১৯৭৩ সালে শাবানা বিয়ে করেছেন পরিচালক ওয়াহিদ সাদিককে। দুটি কন্যা ও একটি পুত্রসন্তান ২০০০ সালে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে চলে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ