কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে একটি মোটরচালিত কাঠের নৌকায় আগুন ধরে যাওয়ার পর কমপক্ষে ১৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার দেশটির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত কঙ্গো নদীতে থাকা নৌকাটিতে নারী ও শিশুসহ প্রায় ৫০০ যাত্রী বহন করছিল।

কঙ্গোতে নৌকা দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ। দেশটির গ্রামগুলোর মধ্যে পরিবহনের প্রধান মাধ্যম হল পুরানো কাঠের নৌকা। এসব নৌকায় প্রায়শই ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী বোঝাই করা হয়।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা অনুমান করছেন যে এখনো শত শত মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। 

এইচবি কঙ্গোলো নামের নৌকাটি মাতানকুমু বন্দর থেকে বোলোম্বা অঞ্চলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিল। এমবান্ডাকা শহরের কাছে গেলে নৌকাটিতে আগুন ধরে যায়।

স্কাই নিউজ জানিয়েছে, প্রায় ১০০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় টাউন হলের একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ