প্রতিবেশীর সঙ্গে ছেলের মারামারি, ঠেকাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু
Published: 19th, April 2025 GMT
প্রতিবেশীর সঙ্গে ছেলের মারামারি ঠেকাতে গিয়ে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। মারা যাওয়া আক্কাস আলী শেখ (৬৩) গোয়ালন্দ পৌরসভার কুমড়াকান্দি মহল্লার বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর মরদেহ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ, মৃত ব্যক্তির পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আক্কাস আলীর বসতবাড়ির পাশে কোয়েল পাখির খামার করেছেন একই মহল্লার গিয়াস উদ্দিন শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (৬৩) ও লিটন শেখ (৩৮)। এ নিয়ে আক্কাসের পরিবারের সঙ্গে ফরিদ ও লিটনের বিরোধ চলছিল।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কোয়েল পাখির ওই খামার থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধকে কেন্দ্র করে আক্কাসের ছেলে শাহীন শেখের সঙ্গে ফরিদ ও লিটনের তর্ক হয়। তর্কের এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। ছেলেকে বাঁচাতে ঘর থেকে বেরিয়ে মারামারি ঠেকানোর চেষ্টা করছিলেন আক্কাস। এ সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরিবারের লোকজন আক্কাসকে দ্রুত গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আক্কাসের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মরদেহটি রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।