নিউইয়র্কে চতুর্থ বাংলাদেশ রেমিট্যান্স মেলা-২০২৫ এর উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকের (বিএবি) চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার। শুক্রবার সন্ধ্যায় লা গুয়ার্ডিয়া এয়ারপোর্ট ম্যারিয়ট হোটেলে মেলার উদ্বোধন করেন তিনি। এতে যোগ দেন বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ব্যাংকের চেয়ারম্যানও।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার দেশের উন্নয়নে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে এ আয়োজনের সাফল্য কামনা করেন।

অর্থনীতিবিদ ড.

বীরুপাক্ষ পালের সঞ্চালনা এবং ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যানরা বলেন, মধ্যপ্রাচ্য রেমিট্যান্সের প্রধান বাজার হলেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে যারা রেমিট্যান্স পাঠান তাদের দেশপ্রেম বেশি।

এ সময় কেবল বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোতে সীমাব্দ্ধ না থেকে অভিবাসীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানানো হয়।

ব্ক্তারা বলেন, বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানো দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম যুক্তরাষ্ট্র। এ দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা স্বজনদের কাছে যে অর্থ পাঠান, তাতে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়। সম্প্রতি বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রবাহ কয়েকগুণ বেড়েছে। 

রেমিট্যান্স ফেয়ার উপলক্ষ্যে নিউইয়র্কে স্টেট সিনেট একটি রেজুলেশন পাস করেছে। সেই সূত্রে রিপাবলিক্যান সিটি মেয়র প্রার্থী কার্টিস সিলিওয়া বাংলাদেশের অভিবাসীদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থানের আহ্বানও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংক এশিয়ার চেয়ারম্যান রোমো রউফ চৌধুরী, এক্সিম ব্যাংকে চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম স্বপন, এসবিএসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার মোখলেসুর রহমান, সিটিজেন্স ব্যাংক চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ হানিফ শোয়েব, মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জ হাউস (ইউকে) লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম আমানউল্লাহ,  এনসিসি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে। 

উল্লেখ্য, ১৯ ও ২০ এপ্রিল দুই দিনব্যাপী জ্যাকসন হাইটসের ‘সানাই পার্টি হলে’ এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ