জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশ একসময় মুখোমুখি হতো নিয়মিতই। ক্রিকেটীয় বন্ধুত্বটা তাই আছেই। জিম্বাবুয়ের অনেক ক্রিকেটারদের জন্যও বাংলাদেশ খুবই চেনা প্রতিপক্ষ। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার জন্য তো নাকি বাংলাদেশ দ্বিতীয় ঘরই।

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে তিনি আছেন সিলেটে। কাল প্রথম দিনে ১০ ওভার বল করে তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। কেমন লাগে বাংলাদেশে?

আজ দ্বিতীয় দিন শুরুর আগে সম্প্রচারকারী টেলিভশনের মুখোমুখি হয়ে মাসাকাদজা বলেছেন, ‘নিশ্চিতভাবেই (বাংলাদেশে ফিরতে ভালো লাগে)। আমার মনে হয়, এটা আমার সেকেন্ড হোম।’

ভালো লাগার একটা ক্রিকেটীয় কারণও উল্লেখ করেছেন মাসাকাদজা, ‘বিশেষ করে স্পিনার হিসেবে এখানকার কন্ডিশন বেশ মানানসই। স্পিনাররা এখানে সুবিধা পেয়ে থাকে।’ ক্রিকেট ছাড়াও আরও একটা কারণের কথা বলেছেন মাসাকাদজা, ‘এখানের বাটার চিকেনও সুস্বাদু।’

২০১৮ সালে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের প্রথম টেস্টে অভিষেক হয়েছিল ওয়েলিংটন মাসাকাদজার।

সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে বেশ স্বস্তিতে রেখেছেন বোলাররা। শুরুতে পেসাররা দাপট দেখালেও পরে উইকেট নিয়েছেন মাসাকাদজা ও ওয়েসলি মাধেভেরেও।

আরও পড়ুননাহিদ প্রমাণ করলেন তিনি ‘মেশিনের চেয়ে ভালো’৩৪ মিনিট আগে

কীভাবে সফল হলেন, সেই কৌশল জানাতে গিয়ে মাসাকাদজা বলেন, ‘আমরা এই উইকেটে সঠিক লাইনে বলটা করতে চেয়েছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম, এখানে সিমারদের জন্য কিছু সাহায্য থাকবে। সে রকমই হয়েছে। সেই সঙ্গে আমরা স্পিনাররা কিছু উইকেট পেয়েছি, যা নিশ্চিতভাবেই দারুণ টেস্টের বাকি সময়টার জন্য দারুণ আভাস।’

২০১৮ সালে এই সিলেটেই জিম্বাবুয়ের হয়ে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল মাসাকাদজার। ওই ম্যাচে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ, মাসাকাদজা পেয়েছিলেন ২ উইকেট। মাসাকাদজার অভিষেক রঙিন হয়েছিল জয়ে।

এখন আবার সিলেটে ফিরে ওই স্মৃতি রোমন্থন করেছেন, ‘আমার টেস্ট অভিষেক এখানে হয়েছিল। যেই প্রান্ত থেকে বোলিং শুরু করেছিলাম, সেখান থেকেই গতকাল করেছিলাম। কয়েক বছর টেস্ট ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। এখন ফিরে এসে ভালো কিছু করেছি, এটাই ভালো লাগছে।’

আরও পড়ুনজীবনের ঝুঁকি নিয়ে পালাতে হয়েছিল—দাবি হাথুরুসিংহের১৪ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য হয় ছ ল প রথম উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ভক্তের কাছ থেকে পাওয়া ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি কী করেছেন সঞ্জয় দত্ত

বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্তের জীবনে চমকপ্রদ ঘটনার অভাব নেই। কিন্তু এবার যা ঘটেছে, তা যেন রীতিমতো সিনেমার চিত্রনাট্য! এক ভক্ত তাঁর জন্য রেখে গিয়েছিলেন ৭২ কোটি রুপির (প্রায় ১০০ কোটি টাকা) সম্পত্তি। আর সঞ্জয় দত্ত? অবাক করে দিয়ে সবই ফিরিয়ে দিয়েছেন সেই ভক্তের পরিবারকে।

সম্প্রতি কার্লি টেলসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত নিশ্চিত করেছেন ২০১৮ সালের সেই বহুল আলোচিত ঘটনার কথা। তিনি বলেন, ‘আমি ওটা ওর পরিবারকে ফেরত দিয়ে দিয়েছি।’ ওই ভক্ত নিশা পাটিল, ছিলেন মুম্বাইয়ের এক গৃহিণী। জানা যায়, মৃত্যুর আগে তিনি নিজের সম্পত্তি সঞ্জয় দত্তের নামে রেখে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ব্যাংককে। তাঁর মৃত্যু হয় ২০১৮ সালে।

সে সময় খবরটি শোরগোল ফেলে দিয়েছিল ভারতজুড়ে। একজন তারকার জন্য এমন আবেগঘন সম্পত্তি হস্তান্তর যেমন বিরল, তেমনি সঞ্জয়ের তা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও প্রশংসিত হচ্ছে। বহু বছর পর আবার আলোচনায় উঠে এল এ ঘটনা এবার অভিনেতার নিজ মুখেই।

সঞ্জয় দত্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভক্তের কাছ থেকে পাওয়া ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি কী করেছেন সঞ্জয় দত্ত