ব্যক্তিগত গোপনীয়তার জন্য অনেকেই বাসার ঠিকানা বা স্থানের নাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন না। তবে এবার শুধু ছবি বিশ্লেষণ করেই সেটি কোথায় তোলা হয়েছে, তা জানিয়ে দিচ্ছে ওপেনএআইয়ের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির চ্যাটজিপিটি চ্যাটবট। প্রযুক্তির এই অগ্রগতি যেমন বিস্ময়কর, তেমনি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিয়ে তৈরি করেছে নতুন উদ্বেগ।

ওপেনএআইয়ের তৈরি সর্বশেষ সংস্করণের এআই মডেল ‘ওথ্রি’ ও ‘ওফোর মিনি’ ছবি বিশ্লেষণে অভূতপূর্ব সক্ষমতা অর্জন করেছে। এসব মডেল আশপাশের দৃশ্য শনাক্ত করে ছবি কোথায় তোলা হয়েছে, তা শনাক্ত করতে পারে। মডেলগুলো এতই শক্তিশালী যে ঝাপসা বা বিকৃত হয়ে যাওয়া ছবি থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ভিজ্যুয়াল সংকেত শনাক্ত করতে সক্ষম। এর ফলে ছবিতে থাকা দোকানের সাইনবোর্ড, রাস্তার চিহ্ন, বিলবোর্ড, খাবারের তালিকা বা কোনো নির্দিষ্ট স্থাপত্যশৈলী দেখে ছবিটি কোথায় তোলা হয়েছে, তা জানাতে পারে চ্যাটজিপিটি।

খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) অনেক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, তারা নিজেদের তোলা সাধারণ ছবি আপলোড করে এই সুবিধার কার্যকারিতা যাচাই করেছেন। ছবি দেখে চ্যাটজিপিটি কখনো শুধু শহরের নাম বলছে, আবার কখনো নির্দিষ্ট দোকান বা স্থানের নাম জানিয়েছে।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, বিষয়টি নিছক কৌতূহলের জায়গায় সীমাবদ্ধ নেই। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে বড় ধরনের গোপনীয়তার ঝুঁকি। বর্তমানে চ্যাটজিপিটির এই সুবিধা নিয়ন্ত্রণের কোনো সুযোগ নেই। ফলে ইচ্ছা করলেই যে কেউ অনলাইনে প্রকাশিত যেকোনো ছবি এমনকি ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকের স্ক্রিনশট আপলোড করে জানতে চাইতে পারেন, ‘ছবিটি কোথায় তোলা হয়েছে? ’ এতে অজান্তেই ফাঁস হয়ে যেতে পারে কারও ব্যক্তিগত অবস্থান বা দৈনন্দিন গতিবিধি। তবে এই সুবিধা শতভাগ নির্ভুল নয়। অনেক সময় চ্যাটজিপিটি ভুল করে, অস্পষ্ট তথ্য দেয় বা একাধিকবার একই বিশ্লেষণের পুনরাবৃত্তি করে।

সূত্র: বিজিআর ডটকম

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জায়েদ ভাই মেয়েদের ফেভারিট: নুসরাত ফারিয়া

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া মানেই গ্ল্যামার, মেধা আর মজার মিশ্রণ। দুই বাংলায় সমানতালে কাজের পাশাপাশি গানেও বাজিমাত করেছেন। এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ভিন্ন কারণে। চিত্রনায়ক জায়েদ খানের টক শোতে অতিথি হয়েছেন এই অভিনেত্রী। 

সম্প্রতি কানাডায় অনুষ্ঠিত ৩৯তম ফোবানা সম্মেলনে অংশ নেন ফারিয়া। গালা নাইটে নিজের ঝলমলে পারফরম্যান্সে মাতিয়ে তোলেন সবাইকে। সেই সফরের মজার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সহকর্মী জায়েদ খানের গোপন তথ্য ফাঁস করেন এই অভিনেত্রী।  

আরো পড়ুন:

গ্রেপ্তারের পর প্রথম মুখ খুললেন নুসরাত ফারিয়া

বিয়ে ভাঙার পর হতাশা কাটাতে ওষুধ খেতেন নুসরাত ফারিয়া

ফারিয়া বলেন, “জায়েদ ভাই মিষ্টি মনের মানুষ। দিন দিন তো অনেক হ্যান্ডসাম হয়ে যাচ্ছেন! এত ওয়ার্কআউট করছেন যে, এখন বাংলাদেশের অর্ধেক মেয়েরই ফেভারিট উনি!” 

জায়েদ খানের প্রশংসা করে ফারিয়া বলেন, “আগে তো ছিলেনই, এখন অনেক ফিট হয়ে গেছেন। ওনার সাথে কাজ করা মানে সারাক্ষণ হাসিখুশি থাকা। কারো মন খারাপ থাকলেও উনার সাথে কথা বললেই ভালো হয়ে যায়।” 

কানাডা সফরের আরেক টুকরো গল্পও জানান ফারিয়া। তার ভাষায়, “একদিন উনি বললেন, ‘চলো মন্ট্রিয়ালে হাঁটতে হাঁটতে শুটটা করে ফেলি।’ আমি ভাবলাম মজা করছেন, কিন্তু উনি সত্যিই শুট শুরু করলেন। ওই ফান পার্টগুলো কিন্তু আপনাদের দেখানো হয়নি, এডিটেই কেটে দিয়েছে!”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ