খুলনায় মোটরসাইকেল থামিয়ে যুবককে গুলি করে হত্যা
Published: 22nd, April 2025 GMT
খুলনার ফুলতলা উপজেলার পিপরাইল গ্রামে মোটরসাইকেল থামিয়ে সুমন মোল্লা নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরের দিকে ঘটনাটি ঘটে। নিহত সুমন একই গ্রামের রকিব উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে জামিরা বাজারে যেতে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে রওনা হন সুমন। বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে বিপরীত দিক থেকে একটি মোটরসাইকেল আসা তিন যুবক তার গতিরোধ করে। তাদের মধ্যে একজন সুমনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলিটি সুমনের ডান থুতনি ভেদ করে বের হয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরের আদালতে দীপু মনি-পলকসহ ৬ জন
অঝোরে কাঁদছেন পারভেজের মা
এ সময় সুমন মোটরসাইকেল থেকে পাশের ধান ক্ষেতে পড়ে যান। পরে স্থানীয়ার ধান ক্ষেত থেকে সুমনকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।
ফুলতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মনিরুজ্জামান খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে সন্ত্রাসীরা তাকে (সুমন) গুলি করে হত্যা করে। হত্যাকারীদের আটকে পুলিশ চেকপোস্ট এবং অভিযান পরিচালনা করছে। সুমনের মরদেহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য অভ য গ
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।