বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
Published: 23rd, April 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অর্থনীতির দিক থেকে প্রচুর সম্ভাবনাময় একটি আশ্চর্যজনক দেশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বেসরকারি ব্যবসায়িক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা জানান।
অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন, নেপাল, ভুটান এবং বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ভারতের সাত রাজের্য সমুদ্রে প্রবেশর সুযোগ নেই। এ বিষয়ে তিনি বলেন, যদি তাদের সমুদ্রে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশ শিক্ষিত তরুণদের হাতে প্রযুক্তি থাকা অবস্থায় একটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক কেন্দ্র হতে পারে।
বিদেশী উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ সম্প্রতি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন করেছে, যেখানে বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অসাধারণ সাড়া পেয়েছেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ একটি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এটি বিশ্বের আটটি সর্বাধিক জনবহুল দেশের একটি। প্রায় ১৮ কোটি মানুষ একটি ক্ষুদ্র ভূমিতে বাস করে, যেখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বয়স ৩৭ বছরের কম। তাদের প্রযুক্তি জ্ঞানের সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরও তুলে ধরেন যে, তার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিভাবে দেশের অর্থনীতি, বিচার বিভাগ এবং অন্যান্য খাতগুলোকে সংস্কার করেছে, যেগুলো ক্ষমতাচ্যুত সরকার তার ১৬ বছরের শাসনামলে ধ্বংস করে দিয়েছিল।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি