কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় মোহাম্মদ কাছিম আলী (৩২) নামের এক যুবকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের কামিতার পাড়া মনচোরাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কাছিম আলী ওই এলাকার নুরুল আলমের ছেলে।

নিহত ব্যক্তির পরিবার ও পুলিশ জানিয়েছে, সকালে কাছিম আলীর মামা ও একই এলাকার বাসিন্দা গফুর মিয়া মাছ ধরার ট্রলারে শ্রমিক সরবরাহের বিষয়ে আবু তৈয়ব নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ঝগড়া করছিলেন। এ সময় কাছিম আলী দুজনকে ঝগড়া করতে নিষেধ করেন।

বিষয়টি নিয়ে কাছিম আলীর ওপর ক্ষুব্ধ হন গফুর মিয়া। এর জেরে গফুর মিয়ার ছেলে শাকিব খান কাছিম আলীর ঘরে হামলা করেন। একপর্যায়ে বসতবাড়ির সামনে কাছিম আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। তাঁকে উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শেখ কামাল বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামাতো ভাইয়ের হাতে কাছিম আলী খুন হয়েছেন। নিহত কাছিম আলী পেশায় জেলে বলে জানান তিনি।

এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শাকিব খান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক। তাঁদের মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে। তাই অভিযোগের বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রচুল কুমার শীল বলেন, লাশটি উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত শাকিব খান পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ছ ম আল

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ