কক্সবাজারে নদীবন্দর স্থাপনে বড় বাধা হয়ে থাকা অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেছেন, “নদীবন্দরের জন্য নির্ধারিত জায়গা ইতোমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। যদি সেখানে কোনো অবৈধ দখলদারের পাকা দালান বা স্থাপনা থেকেও থাকে, প্রয়োজনে সেটিও গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।”

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর তীরে প্রস্তাবিত নদীবন্দর এলাকা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

নৌ পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, “অবৈধ দখলদারদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। যদি আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকে, তা স্থানীয় প্রশাসন দেখবে। বাকি সব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। যতক্ষণ না নদী দখলমুক্ত হচ্ছে, ততক্ষণ বন্দরের কাজ শুরু করা সম্ভব নয়।”

পরিদর্শন শেষে কক্সবাজার শহরের ৬ নম্বর ঘাট থেকে কক্সবাজার-মহেশখালী নৌরুটে ‘সি–ট্রাক’ চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা।

এ সময় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড.

সলিমুল্লাহ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বিআইডব্লিউটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/তারেকুর/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের ৯ ভবন ধ্বংস করল ইরান

ইসরায়েলের হামলার জবাবে নতুন করে ইরানের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর জেরুজালেম ও তেল আবিবে বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এতে একজন নিহত এবং প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। পাশাপাশি অন্তত নয়টি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।

ইসরায়েলের হারেৎজ সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবের কেন্দ্রস্থলে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি উঁচু ভবনে আঘাত হানায় ভবনটির নিচের এক-তৃতীয়াংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তেল আবিবের শহরতলির রামাত গানেও নয়টি ভবন ধ্বংস হয়েছে।

ইরান দেড় শতাধিক মিসাইল ছুঁড়েছে বলেও জানিয়েছে সংবাদপত্রটি। এদিকে কিছুক্ষণ আগে (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে) জেরুজালেমের আকাশে ফের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের একটি নতুন ঢেউ ইসরায়েলের দিকে এগিয়ে আসছে। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েল রাষ্ট্রের দিকে আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। আইডিএফ এর আগে নতুন করে হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছিল এবং বলেছিল যে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলায় হতাহতের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোররাতে ইরানে হামলা শুরু করে দখলদার ইসরায়েল। নৃশংস এই হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, বিজ্ঞানীসহ অন্তত ৭৮ জন নিহত হয়েছে। দখলদার বাহিনীর হামলায় আহত হয়েছেন তিন শতাধিক মানুষ। এই হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসরায়েলের ৯ ভবন ধ্বংস করল ইরান