রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ৩০ জন দালালকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এ সময় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কয়েকজন দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে হাসপাতাল এলাকায় পুলিশ-সেনাবাহিনীর যৌথ এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলে দুপুর পর্যন্ত।

এ সময় অনেকে দালাল পালিয়ে গেলেও বেশ কিছু দালালকে যৌথ বাহিনী আটক করে। এসব দালালরা হাসপাতালে আগত রোগী এবং স্বজনদের হয়রানির পাশাপাশি চিকিৎসা ব্যবস্থায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করছিল। 

মুগদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজেদুর রহমান জানান, অভিযানে ৩০ জনের মতো দালাল আটক হয়েছে। এরপর থেকে ম্যাজিস্ট্রেট বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। শেষ হলে নিশ্চিত করে বলা যাবে কতজনকে সাজা কিংবা জরিমানা করা হয়েছে।

ঢাকা/এমআর/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের শিকার কিশোরী

চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে বেসরকারি একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণ করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই বুথের নিরাপত্তাকর্মী পলাতক। গতকাল রোববার গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন এটিএম বুথে এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা গতকাল রাতেই শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন। পরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য  ওই কিশোরীকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। 

মামলার আসামি বুথের নিরাপত্তাকর্মী লিটন মিয়া। তিনি ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের বাসিন্দা। 

জানা গেছে, পোশাক কারখানায় চাকরি করে ভুক্তভোগী কিশোরী। সে এটিএম বুথ থেকে মাস শেষে বেতন তোলে। এর একপর্যায়ে ওই বুথের নিরাপত্তাকর্মী লিটন মিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ১২ হাজার টাকা বেতন নতুন চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বুথের ভেতরে একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন নিরাপত্তাকর্মী। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, এটিএম বুথ থেকে টাকা উঠানোর সূত্র ধরে ভুক্তভোগী কিশোরীর সঙ্গে পরিচয় হয় এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী লিটনের। সেই সূত্রে অন্য কারখানায় ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখান লিটন। রোববার সকালে তিনি কিশোরীর বাবাকে ফোন করেন এবং তার মেয়েকে সকাল ৬টায় বুথে আসতে বলেন। বুথে যাওয়ার পর কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আসবেন এই বলে  কিশোরীকে বুথের ভেতরে থাকা ছোট্ট কক্ষে নিয়ে বসান। পরে ওই কক্ষে তাকে ধর্ষণ করেন লিটন। 

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়। অভিযুক্ত লিটন মিয়া পালিয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ