আমি চাইলেই ১০-১৫টা সিনেমা করে ফেলতে পারতাম: মিম
Published: 24th, April 2025 GMT
২০২২ সালের ঈদুল আজহায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘পরাণ’। এতে অনন্যা চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসিত হয়েছিলেন বিদ্যা সিনহা মিম। এই সিনেমার মাধ্যমেই মিম যে অনবদ্য অভিনেত্রী তার প্রমাণ দিয়েছেন। অথচ পরাণের পর মিমকে আর তেমন সিনেমায় দেখা যায়নি। কেনো যায়নি সে উত্তর দিয়েছেন নায়িকা। মিম বললেন, ‘আমি ইচ্ছে করলেই পরানের পর ১০-১৫টা সিনেমা করে ফেলতে পারতাম। কিন্তু সেগুলো ততটা মানের হত না। ওরকম কাজ আমি করবোও না। আমি ভালো কাজের অপেক্ষা করছি। যখন ভালো কিছু হবে তখন সবাই জানবেন।’
সম্প্রতি বনশ্রীর ই ব্লকের দেশের জনপ্রিয় অথেনটিক কসমেটিকস স্টোর ‘হারল্যান স্টোর’-এর আরও একটি শাখা উদ্বোধনে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কথাগুলো জানান মিম। সেখানে এই নায়িকা বলেন, আমি অনেকগুলো ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত আছি। এখন সেসব ব্যান্ডেরই কাজ করছি। তাদের বিজ্ঞাপনের শুটিং, ফটোশুটসহ নানা কাজ করতে হচ্ছে। সিনেমা না করলেও ব্র্যান্ডের কাজ নিয়ে প্রতিদিনই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে।
মিম বলেন, ‘কেউ চাইলেই যে আমি সিনেমা করব বিষয়টি কিন্তু এমন না। সিনেমার ক্ষেত্রে তো সব কিছু আমার মনমত হওয়া লাগবে। তবেই না আমি সিনেমা করব।’
নায়ক-নায়িকাদের শো রুম উদ্বোধনে ও প্রডাক্ট ব্র্যান্ডিংয়ের বিষয়টি মিম কিভাবে দেখেন এমন প্রশ্নের উত্তরে নায়িকা বলেন, ‘হলিউড বলিউডের স্টাররাও কিন্তু এই ব্র্যান্ডিংয়ের কাজ করেন। তারাও শো রুম উদ্বোধন করতে যান। এটা আমাদের কাজেরই অংশন। এটা খুবই নরমাল বিষয়।’
এ সময় রিমার্ক-হারল্যানের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মামনুন হাসান ইমন ও প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অভ ন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।