বাসের ধাক্কা খেয়ে পথচারী বৃদ্ধের ওপর মোটরসাইকেল, নিহত ১
Published: 25th, April 2025 GMT
দ্রুতগামী একটি বাস ধাক্কা দেয় মোটরসাইকেলকে। এতে মোটরসাইকেলটি ছিটকে পড়ে পথচারী এক বৃদ্ধের ওপর। এ সময় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ওই পথচারী। আহত হন মোটরসাইকেলের চালক। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের হাদি ফকিরহাট বাজারের উত্তর পাশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃদ্ধের নাম আবুল কাশেম। তিনি মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের উত্তর গাছবাড়িয়া এলাকার মৃত এবাদুর রহমানের ছেলে। আহত মোটরসাইকেল আরোহীর নাম জানা যায়নি।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিজামপুর মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রামু শর্মা বলেন, হাদি ফকিরহাট বাজারে আবুল কাশেমের কিছু ভাড়া দোকান রয়েছে। সেগুলোর তদারকি করতে প্রায় সময় তিনি বাজারে যেতেন। শুক্রবার সকালেও দোকান তদারকি শেষে বাজার থেকে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য কিনে মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় বাসের ধাক্কায় একটি মোটরসাইকেল তাঁর গায়ের ওপর ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় নিজামপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তবে বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশের আওতাধীন। জানতে চাইলে কুমিরা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’