যুবলীগ নেতা অহিদের ব্যবসার পার্টনার মোমেন বিএনপি নেতা সাজার চেষ্টা
Published: 25th, April 2025 GMT
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছর ছিলেন আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী মোমেন মিয়া এবার ভোল পাল্টে বিএনপি নেতা বনে যাওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন।
ব্যক্তিভাবে তিনি ছিলেন বন্দরের আলোচিত যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদ এর প্রধান উপদেষ্টা ও ব্যবসায়িক পার্টনার। তার সকল ব্যবসা বাণিজ্য দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল মোমেন মিয়ার উপর।
বর্তমানেও মোমেনে মিয়াই অহিদের সকল ব্যবসা দেখার দায়িত্বে রয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি ভোল পাল্টে বি.
তার বড় ভাই আল আমিন বন্দর থানা জিয়া মঞ্চের সভাপতি হওয়ার সুবাধে বড় ভাইয়ের সাইনবোর্ড ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশার নাম ব্যবহার করে এলাকায় বিএনপি সেজে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই মোমেন মিয়া একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধা ভোগী ছিল। বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.এ রশিদের হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগের যোগ দিয়ে ছিলেন।
তার আগে থেকেই সে যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামানের সাথে থেকে তার সকল ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করতো। তার ইট ভাটা থেকে শুরু করে, বালু সহ হাটের ইজারা পর্যন্ত সব কিছুতেই ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত ছিল এই মোমেন মিয়া।
গত ৫ আগস্টের পর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায় অহিদুজ্জামান অহিদ। কিন্তু এলাকাতে থেকে তার সকল ব্যবসার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে আসছে পার্টনার ও অন্যতম সহযোগী এই মোমেন মিয়া। বর্তমানে সে নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
সেই সাথে বিএনপির যেকোন একটা সহযোগী সংগঠনের পদ-পদবি বাগিয়ে নিতে জোড় লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে তিনি নিজেকে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ২৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা ও ১৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের নাম ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বল গ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ র সকল ব যবস আওয় ম ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।