ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছর ছিলেন আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী মোমেন মিয়া এবার ভোল পাল্টে বিএনপি নেতা বনে যাওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন।

ব্যক্তিভাবে তিনি ছিলেন বন্দরের আলোচিত যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদ এর প্রধান উপদেষ্টা ও ব্যবসায়িক পার্টনার। তার সকল ব্যবসা বাণিজ্য দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল মোমেন মিয়ার উপর। 

বর্তমানেও মোমেনে মিয়াই অহিদের সকল ব্যবসা দেখার দায়িত্বে রয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি ভোল পাল্টে বি.

এন.পি নেতা বনে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মোমেন মিয়া বন্দরের মদনপুর এলাকার শহিদুল্লাহর (পাইছা) ছেলে।

তার বড় ভাই আল আমিন বন্দর থানা জিয়া মঞ্চের সভাপতি হওয়ার সুবাধে বড় ভাইয়ের সাইনবোর্ড ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশার নাম ব্যবহার করে এলাকায় বিএনপি সেজে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই মোমেন মিয়া একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধা ভোগী ছিল। বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.এ রশিদের হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগের যোগ দিয়ে ছিলেন।

তার আগে থেকেই সে যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামানের সাথে থেকে তার সকল ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করতো। তার ইট ভাটা থেকে শুরু করে, বালু সহ হাটের ইজারা পর্যন্ত সব কিছুতেই ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত ছিল এই মোমেন মিয়া। 

গত ৫ আগস্টের পর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায় অহিদুজ্জামান অহিদ। কিন্তু এলাকাতে থেকে তার সকল ব্যবসার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে আসছে পার্টনার ও অন্যতম সহযোগী এই মোমেন মিয়া। বর্তমানে সে নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। 

সেই সাথে বিএনপির যেকোন একটা সহযোগী সংগঠনের পদ-পদবি বাগিয়ে নিতে জোড় লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে তিনি নিজেকে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ২৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা ও ১৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের নাম ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: য বল গ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ র সকল ব যবস আওয় ম ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন: বিএনপির যে প্রার্থীদের সঙ্গে লড়বেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতাদের যেসব আসনে নির্বাচন করার কথা রয়েছে, সেখানেও প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই তারকারা

কুষ্টিয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত সোহরাব- সমর্থকদের বিক্ষোভ

বিএনপির ঘোষিত আসনভিত্তিক তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা-১১ (বাড্ডা-ভাটারা-রামপুরা) আসনের তাদের প্রার্থী এম এ কাইয়ুম। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।

রংপুর-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ এনামুল হক ভরসা। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

পঞ্চগড়-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ নওশাদ জমির। এই আসনে নির্বাচন করার সম্ভাবনা রয়েছে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের।

কুমিল্লা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

চাঁদপুর-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী করা হয়েছে মো. মমিনুল হককে। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “এখন পর্যন্ত আমাদের দলের আসনভিত্তিক মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়নি। যখন চূড়ান্ত করা হবে, আপনাদের জানানো হবে।”

এর আগে রবিবার (৩ নভেম্বর) সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা ৩০০ আসন ধরে এগোচ্ছি। ঢাকা থেকেই আমি দাঁড়াব। আর কে কোন আসনে দাঁড়াবেন, আমরা প্রার্থী তালিকা এ মাসেই দিতে পারি।”

অবশ্য বিএনপি ও এনসিপি চূড়ান্ত মনোনয়ন না দেওয়া পর্যন্ত যে কোনো আসনে যেকোনো সময় পরিবর্তন আসতে পারে বলে তারা ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। 

ঢাকা/রায়হান/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ