রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতে মো. রফিক ওরফে বোবা রফিক (৩০) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। পরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটলেও মামলার পর শুক্রবার জানাজানি হয়। এদিকে হত্যায় জড়িত অভিযোগে মো. আসিফ ওরফে আসিক ওরফে ইব্রাহিম খলিলকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। 

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি গাজী শামীমুর রহমান সমকালকে বলেন, নিহত রফিকের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় ছিনতাই, চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত আটটি মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, অপরাধ করে পাওয়া টাকার ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধে সহযোগীরাই তাকে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাস্থল তেজগাঁও থানা এলাকায় হওয়ায় তারা এ মামলার তদন্ত করবে।

তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল জান্নাত বলেন, নিহতের নানি বাদী হয়ে ইব্রাহিম খলিলসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দু-তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। অন্য আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। সেই সঙ্গে হত্যার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে তদন্ত করা হচ্ছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কারওয়ান বাজারের চারুলতা রেস্তোরাঁর সামনে দাঁড়িয়েছিল রফিক। পূর্বশত্রুতার জেরে  ওতপেতে থাকা খলিলসহ অজ্ঞাতপরিচয় দু-তিনজন চাপাতি, চাকুসহ তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা রফিককে কুপিয়ে জখম করে। তখন আশপাশের লোকজন ছুটে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে রফিককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, রফিকের মৃতদেহ কারওয়ান বাজার রেললাইন-সংলগ্ন এলাকায় নেওয়া হয়। সেখানে তার স্বজন থাকেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহতের সারাশরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। তার বাড়ি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে।

র‌্যাব-২-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি খান আসিফ তপু জানান, রফিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইব্রাহিম খলিলকে ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে তেজগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য ক রওয় ন ব জ র তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩৫ কিলোমিটারজুটে যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমশার থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটারজুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকেরা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান উল্টে যাওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এ যানজট দেখা দেয়। 

হাইওয়ে পুলিশ  জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে মহাসড়কে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নূরীতলা এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ফেনী থেকে রেকার এনে কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধারের কাজ শুরু করে পুলিশ। 

সকাল সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট দেখা গেছে। 

ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের চালক রমিজ উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করে বুড়িচংয়ের নিমশার বাজারে যানজটে এক ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। ৫ মিনিট গাড়ি চললে ২০ মিনিট বসে থাকতে হয়। এভাবে ১০টা ৪০ মিনিটে চান্দিনায় পৌঁছেছি। এ সময়ে ঢাকার কাছাকাছি থাকার কথা ছিল। 

নিমশার বাজারে আটকে থাকা প্রাইভেট কারের যাত্রী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে যানজট অথচ সড়কে হাইওয়ে পুলিশ দেখছি না। 

ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন বলেন, মহাসড়কের নূরীতলা এলাকায় উল্টে কাভার্ড ভ্যানটি আড়াআড়িভাবে পড়ে ছিল। পরে ঢাকামুখী লেনের বেশ কিছু গাড়ি উল্টো পথে ঢোকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফেনী থেকে ক্রেন এনে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। 

হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম সমকালকে বলেন, দুর্ঘটনার কারণেই যানজট দেখা দিয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ