কারওয়ান বাজারে ছুরি মেরে যুবককে হত্যা
Published: 25th, April 2025 GMT
রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতে মো. রফিক ওরফে বোবা রফিক (৩০) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। পরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটলেও মামলার পর শুক্রবার জানাজানি হয়। এদিকে হত্যায় জড়িত অভিযোগে মো. আসিফ ওরফে আসিক ওরফে ইব্রাহিম খলিলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি গাজী শামীমুর রহমান সমকালকে বলেন, নিহত রফিকের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় ছিনতাই, চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত আটটি মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, অপরাধ করে পাওয়া টাকার ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধে সহযোগীরাই তাকে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাস্থল তেজগাঁও থানা এলাকায় হওয়ায় তারা এ মামলার তদন্ত করবে।
তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল জান্নাত বলেন, নিহতের নানি বাদী হয়ে ইব্রাহিম খলিলসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দু-তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। অন্য আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। সেই সঙ্গে হত্যার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে তদন্ত করা হচ্ছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কারওয়ান বাজারের চারুলতা রেস্তোরাঁর সামনে দাঁড়িয়েছিল রফিক। পূর্বশত্রুতার জেরে ওতপেতে থাকা খলিলসহ অজ্ঞাতপরিচয় দু-তিনজন চাপাতি, চাকুসহ তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা রফিককে কুপিয়ে জখম করে। তখন আশপাশের লোকজন ছুটে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে রফিককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, রফিকের মৃতদেহ কারওয়ান বাজার রেললাইন-সংলগ্ন এলাকায় নেওয়া হয়। সেখানে তার স্বজন থাকেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহতের সারাশরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। তার বাড়ি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে।
র্যাব-২-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি খান আসিফ তপু জানান, রফিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইব্রাহিম খলিলকে ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে তেজগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হত য ক রওয় ন ব জ র তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. আরিফুল। শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে তিনি ভবন থেকে পড়ে যান বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিংতম বলেন, বেলা এগারোটার দিকে কয়েকজন ওই শ্রমিককে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর দেখে তখনই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নির্মাণাধীন ভবনটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোমিনুল করিম শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটির নির্মাণকাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু শ্রমিক ওই ভবনে থাকেন। দুপুরের দিকে তিনি জানতে পারেন একজন শ্রমিক ভবন থেকে পড়ে গেছেন। তাঁকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সন্ধ্যাবেলায় তাঁকে জানানো হয় ওই শ্রমিক মারা গেছেন।
তবে এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর থেকে একজন রোগীকে আনা হয়েছিল। উনি ছাদ থেকে পড়ে গেছেন বলে জানানো হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।
শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আধা ঘণ্টা আগে খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এমন একটি ঘটনা আমাদের আগে জানানো হয়নি কেন, তা জিজ্ঞাসা করেছি। বিষয়টি প্রো-ভিসি (এডমিন) দেখছেন।’