ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ লাগলে যুক্তরাষ্ট্র কী করবে
Published: 27th, April 2025 GMT
কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা নতুন করে বাড়ছে। ব্যাপারটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির জন্যও বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই দুই দেশ যখন আরও বড় ধরনের সামরিক সংঘাতের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কায় দাঁড়িয়ে, তখন যুক্তরাষ্ট্রকে সামলাতে হচ্ছে অত্যন্ত জটিল এক কূটনৈতিক সমীকরণ।
যুক্তরাষ্ট্রকে এখন এই অঞ্চলে কয়েকটা জটিল বিষয় সামলাতে হবে। এদিকে আছে ভারতকে সমর্থন দেওয়া, ভারতের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমবর্ধমান অংশীদারত্ব বজায় রাখা। সঙ্গে আছে চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গেও সম্পর্ক রক্ষার কৌশল তৈরি করা।
এগুলোর কোনোটাতেই কোনো রকম শিথিলতা দেখানোর সুযোগ নেই যুক্তরাষ্ট্রের। মার্কিন হিসেবে এই ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলেই দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং একটি বড় সংঘাত এড়ানো সম্ভব হবে।
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত আর কেবল আঞ্চলিক কোনো বিষয় নয়। এই সংঘাতের প্রভাব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে। কারণ, দুই দেশই পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী। ফলে সামান্য সামরিক উত্তেজনাও ভয়াবহ পরিণতির দিকে গড়াতে পারে।
আরও পড়ুনভারত-পাকিস্তান নতুন সংঘাতে জড়াচ্ছে?২৪ এপ্রিল ২০২৫দক্ষিণ এশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করে এসেছে। এই অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবিরোধী উদ্যোগ ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি—দুটিই মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
কাশ্মীর ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র যদি সামান্যতম ভুল কূটনৈতিক পদক্ষেপও নেয়, তাহলে তা শুধু দক্ষিণ এশিয়ার জন্য নয়; বরং বৈশ্বিক পরিসরেও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে বিপন্ন করে তুলতে পারে।
সাম্প্রতিক হামলার পর ট্রাম্প প্রশাসন সরাসরি এ সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছে ও ভারতের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও স্পষ্ট করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে রয়েছে। আমরা সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের তীব্র নিন্দা জানাই।’
ব্রুস আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র ঘটনাপ্রবাহ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তবে কাশ্মীর নিয়ে ভারত পাকিস্তানের সীমান্ত-বিতর্কের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নিচ্ছে না। কারণ, এই জটিল সংকট সামাল দিতে সংবেদনশীল ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি বলে তাঁরা মনে করেন।
কাশ্মীরে হামলার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স ভারত সফরে ছিলেন। তবে এ সফর ছিল পূর্বনির্ধারিত কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ। সফরের মূল লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা।
হামলার পর ভ্যান্স যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ভারতের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি হামলার নিন্দা জানান এবং যুক্তরাষ্ট্র-ভারত অংশীদারত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁর এই সফর বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
পেহেলগাম হত্যাকাণ্ড নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা যখন বাড়ছিল, তখন ভ্যান্সের ভারতে উপস্থিত থাকার ফলে তাৎক্ষণিকভাবে ভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ও কৌশলগত আলোচনা সম্ভব করে তোলে। এতে বোঝা যায়, ওয়াশিংটন দিল্লিকে শুধু কৌশলগত নয়, বরং সামরিক ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করছে।
দুই দেশই পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী। সামান্য ভুল পদক্ষেপ থেকেও পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। ওয়াশিংটন সম্ভবত দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ও আন্তর্জাতিক কূটনীতির মাধ্যমে এই সংকট নিরসনের চেষ্টা করবে, যাতে সহিংসতা আর না বাড়ে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করা যায়।ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করেছে, বিশেষ করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ‘যুক্তরাষ্ট্র-ভারত কমপ্যাক্ট’ উদ্যোগ চালুর মাধ্যমে। এই অংশীদারত্বের মূল লক্ষ্য হলো সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা আরও জোরদার করা।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের দ্বিপক্ষীয় একটি বাণিজ্য চুক্তির আলোচনাও এগোচ্ছে। ২০২৫ সালের শরতেই তা চূড়ান্ত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এসব উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে ভারতের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা বাড়ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য।
সব মিলিয়ে ভারত এখন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত মিত্র হিসেবে যে প্রতিষ্ঠিত হবে, তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। ট্রাম্প প্রশাসন খোলাখুলি জানিয়ে দিয়েছে যে সন্ত্রাসবাদ ও আঞ্চলিক হুমকির মুখে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে থাকবে এবং এ সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুনকাশ্মীর: ভারত সরকার ও মিডিয়া দায় এড়াতে পারে কি২৫ এপ্রিল ২০২৫এর বিপরীতে, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে সক্রিয় হয়েছে পাকিস্তানও। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলী জারদারি চীন সফর করেন। সফরের মূল লক্ষ্য ছিল প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়া—বিশেষত চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিশ্চিত করা।
এই অংশীদারত্বকে দুই দেশই ‘সর্বকালীন মৈত্রী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বাইরের চাপ মোকাবিলায় একে অপরকে সব সময় সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও তারা পুনর্ব্যক্ত করেছে। যদিও পাকিস্তানে চীনের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কিছু উদ্বেগ রয়েছে, তবু সামগ্রিকভাবে চীন-পাকিস্তান সম্পর্ক এখনো শক্ত ও টেকসইভাবে এগোচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে আছে এবং সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের তীব্র নিন্দা জানায়। আমরা নিহত ব্যক্তিদের আত্মার শান্তি কামনা করি, আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য লাভের প্রার্থনা করি এবং এ নৃশংস ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাই।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স বলেন, ‘গত এক দশকে আমাদের দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কই যুক্তরাষ্ট্রকে ভারতকে মেজর ডিফেন্স পার্টনার হিসেবে ঘোষণা দিতে উৎসাহিত করেছে—এই শ্রেণিতে ভারতই প্রথম।’
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। চীন সন্ত্রাসবাদের সব রূপের বিরোধিতা করে। আমরা নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শোক প্রকাশ করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
উত্তেজনা ক্রমে বাড়ছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে এখন বড় কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ—একদিকে ভারতকে সমর্থন জানানো, অন্যদিকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আসা সংযমের আহ্বানকেও গুরুত্ব দেওয়া। কারণ, দুই দেশই পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী। সামান্য ভুল পদক্ষেপ থেকেও পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
ওয়াশিংটন সম্ভবত দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ও আন্তর্জাতিক কূটনীতির মাধ্যমে এই সংকট নিরসনের চেষ্টা করবে, যাতে সহিংসতা আর না বাড়ে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করা যায়।
এই পরিস্থিতির পরিণতি শুধু দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যতের জন্যই নয়, বরং বৈশ্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তো তা খুবই স্পর্শকাতর, কারণ, চীনের আঞ্চলিক প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে।
আমির দফতরি নিউজ উইকের প্রতিবেদক
নিউজ উইক থেকে থেকে, ইংরেজি থেকে অনুবাদ
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র পরর ষ ট র ক টন ত ক র জন য ত কর ছ
এছাড়াও পড়ুন:
কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী মোদির
কলকাতায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৬তম সম্মিলিত সেনা সম্মেলন (সিসিসি) উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেনা সম্মেলন একটি দ্বিবার্ষিক প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত শীর্ষস্তরীয় মতবিনিময়ের আসর।
অপারেশন সিঁদুরে’র পর এটিই প্রথম সম্মিলিত সেনা সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, তিন বাহিনীর প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান, প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর তিন প্রধানও।
আরো পড়ুন:
অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প
আসামে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, ৫ বাংলাদেশি ছাত্রকে বহিষ্কার
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড সদর দপ্তর কলকাতার বিজয় দুর্গে তথা ফোর্ট উইলিয়ামে আগামী তিনদিন এই সম্মিলিত সেনা সম্মেলন চলবে।
এই সম্মেলন সেনার তিন বাহিনীর সর্বোচ্চ চিন্তাভাবনামূলক ফোরাম, যা দেশের শীর্ষ অসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বকে ধারণাগত ও কৌশলগত স্তরে মতামত বিনিময়ের জন্য আয়োজন করা হয়েছে ৷ কলকাতার আগে সর্বশেষ সম্মিলিত সেনা সম্মলেন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২৩ সালে ভোপালে। অপারেশন সিঁদুরের প্রেক্ষাপটে, এই বছরের সম্মেলন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এবারের সম্মেলনে সংস্কার, রূপান্তর, পরিবর্তন এবং অপারেশনাল প্রস্তুতির উপর জোর দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘সম্মেলনের কেন্দ্রবিন্দু সশস্ত্র বাহিনীর প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, সংহতিকরণ এবং প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণে বিশেষ জোর দেওয়া। একই সঙ্গে শীর্ষস্তরের একাধিক ক্ষেত্রে অপারেশনাল প্রস্তুতির উপরও জোর দেওয়া হবে। তিনদিনের এই সম্মেলন সশস্ত্র বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করার চেষ্টা করা হবে, যাতে ক্রমবর্ধমান জটিল ভূ-কৌশলগত পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়।’
রবিবার আসাম সফর সেরে নির্ধারিত সময়ের থেকে বেশ কিছুটা পর দমদম বিমানবন্দরে নামেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা এবং উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। দলীয় কোনো কর্মসূচি না থাকলেও মোদিকে দেখতে ভিড় ছিল বিজেপি সমর্থকদের। ভিড় দেখে গাড়ি থামিয়ে হাত নেড়ে জনসংযোগ সারেন মোদি। সেখান থেকে তার ২৪ গাড়ির কনভয় পৌঁছায় রাজভবনে। সেখানেই রাত্রিবাস করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। তিনি রাত কাটান ফোর্ট উইলিয়ামে।
চলতি বছরে এই নিয়ে চতুর্থবার পশ্চিমবঙ্গে এলেন নরেন্দ্র মোদি। সকাল ৯ টাতেই রাজভবন থেকে ফোর্ট উইলিয়ামের দিকে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ফোর্ট উইলিয়ামে ছিলেন মোদি। দেড়টার পরে কলকাতা থেকে বিহারের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
একদিকে বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি। অন্যদিকে অস্থির চিন সীমান্ত। তার মধ্যে আবার নেপালে পালাবদল। দিনকয়েক আগে বাংলাদেশের উত্তরে চিন বিমানঘাঁটি তৈরি করতে চলেছে বলে একটি খবর ছড়ায়। ঘাঁটিটি নাকি আবার তৈরি হবে চিকেনস নেকের কাছেই। সবমিলিয়ে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিরাট এক জটিল সমীকরণ তৈরি হয়েছে। এমন অবস্থায় কলকাতার বিজয় দুর্গে সেনা সম্মেলনের আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ