প্রাগৈতিহাসিক পিঁপড়ার সন্ধান পেলো বিজ্ঞানীরা
Published: 27th, April 2025 GMT
কথায় আছে, ‘পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে’। এ কারণেই কি মরে বিলুপ্ত হয়ে গেছে প্রাচীন পিঁপড়ার দল? এটা এখনকার নয়, অন্তত ১১ কোটি ৩০ লাখ বছর আগের কথা। তখন যেসব পিঁপড়া পৃথিবীর আলো-বাতাসে চষে বেড়িয়েছে, তাদের ছিল পাখা। আকারেও তারা বেশ বড়সড় ছিল।
সম্প্রতি জীবাশ্ম আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে প্রাগৈতিহাসিক পিঁপড়া সম্পর্কে এ রকম নানা তথ্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ জীবাশ্ম ব্রাজিলের জাদুঘরের সংগ্রহে রাখা হয়েছে। সূত্র: সিএনএন।
নতুন গবেষণার ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা বলছেন, আপাতত এরাই পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন পিঁপড়ার প্রজাতি। এর আগে যাদের জীবাশ্ম মিলেছে, সেগুলো আরও বহু যুগ পরের।
এ প্রজাতির পিঁপড়ার জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করে বেশ কিছু বিস্ময়কর তথ্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এরা ইতোপূর্বে আবিষ্কৃত পিঁপড়াদের চেয়ে অনেকটাই আলাদা। শিকার ধরার জন্য তাদের ছিল ভিন্ন পন্থা।
সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা জাদুঘরের গবেষক অ্যান্ডারসন লেপেকো বলেন, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা জাদুঘরে সংরক্ষিত জীবাশ্ম সংগ্রহ পরীক্ষা করার সময় তিনি ‘অসাধারণ’ এ নমুনা দেখতে পান। ওই জাদুঘরে বিশ্বের বৃহত্তম জীবাশ্মযুক্ত পোকামাকড়ের সংগ্রহ রয়েছে। উত্তর-পূর্ব ব্রাজিলের ক্রাটো গঠনের নমুনাও রয়েছে। ব্যতিক্রমী জীবাশ্ম সংরক্ষণের জন্য বিখ্যাত এ জাদুঘরটি।
গত বৃহস্পতিবার কারেন্ট বায়োলজি সাময়িকীতে এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, চুনাপাথরে সংরক্ষিত নতুন এ বিলুপ্ত পোকাটি হলো ‘নরক পিঁপড়া’।
এগুলো হাইডোমাইর্মেসিনা নামক একটি উপপরিবারের সদস্য। ৬ কোটি ৬০ লাখ থেকে ৪ কোটি ৫০ লাখ বছর আগে ক্রিটেসিয়াস যুগে এদের বসবাস ছিল। আজকের জীবিত কোনো পিঁপড়ার সঙ্গে এদের কোনো সম্পর্ক নেই।
আবিষ্কৃত এ জীবাশ্মের নাম দেওয়া হয়েছে ভলকানিড্রিস ক্রেটেন্সিস।
এতে দেখা যায়, ওই প্রজাতির পিঁপড়ার কাস্তের মতো চোয়াল ছিল, যার মাধ্যমে সম্ভবত পিঁপড়া তার শিকারকে ফাঁসিতে ঝোলানোর মতো করে ঝুঁলিয়ে রাখত। গবেষণার প্রধান লেখক লেপেকো বলেন, ‘এ পোকার (পিঁপড়া) মাথার সামনে অদ্ভুত প্রক্ষেপণ দেখে আমি হতবাক হয়ে যাই। অন্য নরক পিঁপড়ার মতো এগুলো নয়।’
সাধারণ বিলুপ্ত বড় আকৃতির প্রাণীর জীবাশ্ম পাওয়া যায়। কিন্তু পাথরে সংরক্ষিত পোকামাকড়ের জীবাশ্ম পাওয়া বিরল। ক্রিটেসিয়াস যুগের অন্যান্য নরক পিঁপড়া ফ্রান্স ও মিয়ানমারে পাওয়া গেছে। এরা প্রায় ৯ কোটি ৯০ লাখ বছর আগেকার। এর আগে গবেষকরা মনে করতেন, নরক পিঁপড়া কেবল ব্রাজিলেই বাস করত। কিন্তু নতুন গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গেল, এরা বিবর্তনের প্রাথমিক পর্যায়ে পুরো গ্রহজুড়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে ছিল।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম