বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় থেকে খণ্ডিত হাত-পা উদ্ধার
Published: 28th, April 2025 GMT
ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীর থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় মানবদেহের দুটি হাত ও দুটি পায়ের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করেছে সদরঘাট নৌ থানা-পুলিশ। উদ্ধার করা এসব অংশ সম্প্রতি কেরানীগঞ্জে পাওয়া অজ্ঞাতপরিচয় নারীর খণ্ডিত মরদেহের হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
গতকাল রোববার দুপুরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতুর (পোস্তগোলা সেতু) উত্তর পাশে আরসিন গেট এলাকার নদীতীর থেকে খণ্ডিত হাত-পা উদ্ধার করা হয়। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহের টুকরাগুলো স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এর আগে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পূর্ব আগানগর এলাকার মাকসুদা গার্ডেন সিটির সামনের সড়ক থেকে এক নারীর মাথা, পা ও হাতবিহীন খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বুড়িগঙ্গার পাড়ে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় মানবদেহের খণ্ডিত অংশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। পরে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে মরদেহের টুকরাগুলো উদ্ধার করে মর্গে পাঠাই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার হওয়া হাত-পা কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার হওয়া নারীর দেহের অংশ। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।