মিরাজ–কীর্তিতে বাংলাদেশের ইনিংস জয়, সিরিজ ড্র
Published: 30th, April 2025 GMT
এ রকম একটা অর্জনে বিশেষ উদ্যাপন তো হবেই। বেন কারেনকে ফেরানোর পরই মেহেদী হাসান মিরাজকে ঘিরে সতীর্থরা সে রকমই কিছু করলেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ সেঞ্চুরির পর বল হাতেও নিয়েছেন ৫ উইকেট। টেস্টে বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন মিরাজ, যাঁর হাত ধরে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনেই জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ ড্র করেছে বাংলাদেশ দল। সিলেটের প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ে জিতেছিল ৩ উইকেটে।
এর আগে একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেটের কীর্তি বাংলাদেশ দলে ছিল সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর। মিরাজের নাম এই তালিকায় তৃতীয় সংযুক্তি। তবে আজ চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে মিরাজ কীর্তি গড়েছেন আরও। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ২০০০ রান ও ২০০ উইকেটের ক্লাবেও ঢুকেছেন তিনি, যা সব মিলিয়ে ২৬তম।
আজ প্রথম ইনিংসে ২১৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয়েছে ১১১ রানে। তাতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষ হলো ১–১ ব্যবধানে। চট্টগ্রামের উইকেটে শুরু থেকেই স্পিনারদের জন্য ভালো টার্ন ছিল। তৃতীয় দিনে এসে সেটা বেড়েছে আরও। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২১৭ রানের লিডই তাই টেস্টের গতিপথ অনেকটা ঠিক করে দেয়। তিন স্পিনার তাইজুল, মিরাজ ও নাঈমের সামনে এই উইকেটে ২১৭ রানের লক্ষ্য টপকানো তো আর সহজ কাজ নয়।
সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?