বাংলাদেশের জার্সিতে খেলা থেকে দুই ধাপ দূরে শমিত
Published: 1st, May 2025 GMT
বাংলাদেশের জার্সিতে খেলা থেকে আর মাত্র দুই ধাপ দূরে আছেন শমিত সোম। গত ২০ এপ্রিল জন্মনিবন্ধন হাতে পেয়েছিলেন তিনি। আজ পেলেন কানাডা সকার অ্যাসোসিয়েশনের ছাড়পত্র। সে ক্ষেত্রে লাল-সবুজের জার্সিতে মাঠে নামার জন্য আর দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ শেষ করলেই হবে।
সেই দুটির একটি হলো বাংলাদেশি পাসপোর্ট হাতে পাওয়া, আরেকটি ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির অনুমোদন। দু–এক দিনের মধ্যে কানাডায় বাংলাদেশি হাইকমিশনে যাবেন শমিত। সেখানে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন তিনি। এরপর জরুরি ভিত্তিতে এক দিনের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে পেতে পারেন। বাফুফে সূত্রে আজ এমনটাই জানা গেছে।
বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের সেই ম্যাচটিতেই হামজা চৌধুরীর পাশাপাশি শমিতকেও দেখা যেতে পারে। যদিও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে তাঁর খেলা না–খেলার বিষয়টি অনেকটাই নির্ভর করছে ফিফার ওপর। যত দ্রুত ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি ছাড়পত্র দিয়ে দেবে, তত দ্রুত বাংলাদেশের জার্সিটা গায়ে জড়াতে পারবেন শমিত।
বর্তমানে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ক্যাভালরি এফসিতে খেলেছেন শমিত সোম.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’