চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া এই বাংলাদেশে নির্বাচন হতে দেওয়া যায় না, হতে পারে না। তাই স্থানীয় নির্বাচন আগে হতে হবে, পরে জাতীয় নির্বাচন।

পটুয়াখালী শহরের চৌরাস্তা পয়েন্টে শনিবার বিকেলে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ইসলামী শ্রম নীতি বাস্তবায়ন ও শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে জেলা ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন এ সমাবেশের আয়োজন করে।

নাম উল্লেখ না করে একটি রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যে চরমোনাই পীর বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে শুধু একটি শব্দ শুনি নির্বাচন-নির্বাচন। আপনারা নির্বাচনের জন্য পাগল হয়ে গেলেন কেন? আপনারা ক্ষমতায় গিয়ে কি করবেন? দলীয় লোকজন, নেতাকর্মী ও সমর্থকদের এখনই তো নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। ক্ষমতায় যাওয়ার পরে আপনারা যে কি কাণ্ড করবেন, তা আমাদের জানা আছে। এ জন্যই আগে সংস্কার প্রয়োজন, নির্বাচন পরে। অর্থাৎ স্থানীয় নির্বাচন আগে হতে হবে, পরে জাতীয় নির্বাচন হবে।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট-খুনি ৫ আগস্ট যে পালালো, তারা তো পাঁচ বছরের জন্য শক্তভাবেই বসেছিল। তখন আপনারা কি করতেন? হাজার হাজার ছাত্র-জনতার প্রাণের বিনিময়, রক্তের বিনিময়ে, পঙ্গুত্ব বরণের  মধ্য দিয়ে দেশ মুক্ত হয়েছে, স্বাধীন হয়েছে। অথচ একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই আখের গোছানো শুরু করে দিয়েছে। আমরা দেখছি, একশ্রেণীর নরপশুরা চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজিতে লিপ্ত, তারা বিভিন্ন ঘাট ও স্টেশন দখলে লিপ্ত। বাংলাদেশ থেকে এই দুর্নীতিবাজদেরকে উৎখাত করে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলতে হবে।’

জেলা ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক আনছার উদ্দীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ নাজিবুল্লাহ সরকার। জেলা ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমাদ সিরাজীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি হাওলাদার মুহাম্মদ সেলিম মিয়া, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মুহা.

নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জাহিদ হোসেন লিটন প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চরম ন ই প র ম হ ম মদ ইসল ম আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ