Samakal:
2025-09-19@14:04:25 GMT

খালেদা জিয়া কাল দেশে ফিরছেন

Published: 5th, May 2025 GMT

খালেদা জিয়া কাল দেশে ফিরছেন

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে প্রায় চার মাস চিকিৎসা শেষে আগামীকাল মঙ্গলবার দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ বিমানে (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) আজ সোমবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাঁর। খালেদা জিয়ার সঙ্গে আসছেন তাঁর দুই পুত্রবধূ ডা.

জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান। 

জানা গেছে, লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাবেন ছেলে তারেক রহমান। ঢাকায় বিএনপি মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থেকে চেয়ারপারসনকে অভ্যর্থনা জানাবেন। দীর্ঘদিন পর খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা নিয়ে নেতাকর্মীরা উৎফুল্ল। বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ পর্যন্ত পথে পথে তাঁকে স্বাগত জানাবেন নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে বড় প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে দলটি। বিএনপি ও এর বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীর মধ্যে কারা কোথায় অবস্থান নেবেন, তারা কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না, সে বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। 

গতকাল রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া। নির্দেশনা অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়েন হোটেল পর্যন্ত অবস্থান করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। ছাত্রদল অবস্থান করবে লা মেরিডিয়েন হোটেল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত। যুবদল থাকবে খিলক্ষেত থেকে হোটেল র‍্যাডিসন পর্যন্ত। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি অবস্থান করবে হোটেল র‍্যাডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত। স্বেচ্ছাসেবক দল অবস্থান করবে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত। কৃষক দল থাকবে বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত। শ্রমিক দল অবস্থান নেবে কাকলী মোড় থেকে বনানীর শেরাটন হোটেল পর্যন্ত। ওলামা দল, তাঁতী দল, জাসাস ও মৎস্যজীবী দল অবস্থান করবে শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার পর্যন্ত। মুক্তিযোদ্ধা দলসহ সব পেশাজীবী সংগঠন অবস্থান করবে বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত। মহিলা দল অবস্থান করবে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত থাকবেন। 

জোবাইদার জন্য প্রস্তুত ‘মাহবুব ভবন’
ডা. জোবাইদা রহমানের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ধানমন্ডির ৫ নম্বর সড়কের ‘মাহবুব ভবন’। তাঁর বাবা প্রয়াত মাহবুব আলী খান ছিলেন নৌবাহিনীর প্রধান। ওই ভবনে এখন তাঁর মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু, বড় বোন শাহীনা জামানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা বাস করেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুম্মন বলেন, বাসার সাজসজ্জা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সিসিটিভি ক্যামেরা, পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস ও জেনারেটরের কাজ চলছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দল অবস থ ন করব সদস য ব এনপ রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের ছাতার নিচে সৌদি আরব

অনেক আরব দেশ ইসরায়েলের কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান হুমকি অনুভব করছে। তাই মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশই এখন নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই উদ্বেগ থেকে মুক্তি পেতে চলতি সপ্তাহে পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির বদৌলতে সৌদি আরব নিজেকে ইসলামাবাদের পারমাণবিক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছে।

বুধবার পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি’ কার্যকরভাবে রিয়াদের বিপুল অর্থ পাকিস্তানের বিশাল পারমাণবিক সশস্ত্র সেনাবাহিনীতে বিনিয়োগ করলো। এই চুক্তির খুব কম বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু রিয়াদ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, চুক্তির অধীনে তাদের একটি কার্যত পারমাণবিক ঢাল থাকবে।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ রয়টার্সকে বলেছেন,পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়টি চুক্তির ‘দৃষ্টিসীমায় নেই।’ চুক্তিটি অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সম্প্রসারিত করা যেতে পারে।

আসিফ বলেন, “আমাদের এই চুক্তিটি কোনো আগ্রাসনের জন্য ব্যবহার করার ইচ্ছা নেই। কিন্তু যদি পক্ষগুলোকে হুমকি দেওয়া হয়, তাহলে স্পষ্টতই এই ব্যবস্থা কার্যকর হয়ে উঠবে।”

রিয়াদ পারমাণবিক ইস্যুটিকে ভিন্নভাবে দেখতে পারে।

পাকিস্তান এখন সৌদি আরবকে পারমাণবিক ছাতা প্রদান করতে বাধ্য থাকবে কিনা জানতে চাইলে একজন ঊর্ধ্বতন সৌদি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, “এটি একটি ব্যাপক প্রতিরক্ষামূলক চুক্তি যা সমস্ত সামরিক উপায়কে অন্তর্ভুক্ত করে।”

বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, এই চুক্তিটি এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিরাপত্তার প্রতি সৌদি আরবের সঙ্কুচিত আস্থাকেও প্রতিফলিত করে।

লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের মধ্যপ্রাচ্য নীতির সিনিয়র ফেলো হাসান আলহাসান বলেছেন, “সৌদি দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী ইসরায়েলের তুলনায় কৌশলগত এবং প্রচলিত প্রতিরোধ ঘাটতি পূরণ করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।”

সৌদি আরবের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,  চুক্তিটির “উদ্দেশ্য দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার দিকগুলো বিকাশ করা এবং যৌথ প্রতিরোধ জোরদার করা।”

পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত কিনা সে বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধের তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি সৌদি সরকারি মিডিয়া অফিস।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ