যুক্তরাজ্যের লন্ডনে প্রায় চার মাস চিকিৎসা শেষে আগামীকাল মঙ্গলবার দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ বিমানে (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) আজ সোমবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাঁর। খালেদা জিয়ার সঙ্গে আসছেন তাঁর দুই পুত্রবধূ ডা.
জানা গেছে, লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাবেন ছেলে তারেক রহমান। ঢাকায় বিএনপি মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থেকে চেয়ারপারসনকে অভ্যর্থনা জানাবেন। দীর্ঘদিন পর খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা নিয়ে নেতাকর্মীরা উৎফুল্ল। বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ পর্যন্ত পথে পথে তাঁকে স্বাগত জানাবেন নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে বড় প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে দলটি। বিএনপি ও এর বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীর মধ্যে কারা কোথায় অবস্থান নেবেন, তারা কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না, সে বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া। নির্দেশনা অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়েন হোটেল পর্যন্ত অবস্থান করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। ছাত্রদল অবস্থান করবে লা মেরিডিয়েন হোটেল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত। যুবদল থাকবে খিলক্ষেত থেকে হোটেল র্যাডিসন পর্যন্ত। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি অবস্থান করবে হোটেল র্যাডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত। স্বেচ্ছাসেবক দল অবস্থান করবে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত। কৃষক দল থাকবে বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত। শ্রমিক দল অবস্থান নেবে কাকলী মোড় থেকে বনানীর শেরাটন হোটেল পর্যন্ত। ওলামা দল, তাঁতী দল, জাসাস ও মৎস্যজীবী দল অবস্থান করবে শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার পর্যন্ত। মুক্তিযোদ্ধা দলসহ সব পেশাজীবী সংগঠন অবস্থান করবে বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত। মহিলা দল অবস্থান করবে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত থাকবেন।
জোবাইদার জন্য প্রস্তুত ‘মাহবুব ভবন’
ডা. জোবাইদা রহমানের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ধানমন্ডির ৫ নম্বর সড়কের ‘মাহবুব ভবন’। তাঁর বাবা প্রয়াত মাহবুব আলী খান ছিলেন নৌবাহিনীর প্রধান। ওই ভবনে এখন তাঁর মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু, বড় বোন শাহীনা জামানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা বাস করেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুম্মন বলেন, বাসার সাজসজ্জা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সিসিটিভি ক্যামেরা, পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস ও জেনারেটরের কাজ চলছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দল অবস থ ন করব সদস য ব এনপ রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন পত্রিকা আনছেন রুপার্ট মারডক, নাম দ্য ক্যালিফোর্নিয়া পোস্ট
খবরে ‘হেডলেস বডি ইন টপলেস বার’ (বাংলা অর্থ ‘উন্মুক্ত বারে মিলল মুণ্ডুহীন লাশ’)—এই ধরনের চটকদার শিরোনাম দিয়ে দারুণ জনপ্রিয়তা পাওয়া ট্যাবলয়েড দ্য নিউইয়র্ক পোস্টের ধাঁচে খবর পড়তে চলেছে ক্যালিফোর্নিয়াবাসী। রুপার্ট মারডকের নিউজ করপোরেশন প্রায় ১৫ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সবচেয়ে বড় দৈনিক পত্রিকা চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যার লক্ষ্য এবার পশ্চিম উপকূল।
পত্রিকার নাম দেওয়া হয়েছে দ্য ক্যালিফোর্নিয়া পোস্ট, সদর দপ্তর হবে লস অ্যাঞ্জেলেসে। আগামী বছরের শুরুর দিকে পত্রিকাটির যাত্রা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শন জিয়ানকোলা। তিনি নিউইয়র্ক পোস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। নতুন পত্রিকাটিও এ মিডিয়া গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত হবে।
ক্যালিফোর্নিয়ার সংবাদ শিল্পের বিশ্লেষকদের মতে, নতুন এই ট্যাবলয়েডটি ডুবতে থাকা লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের দুরবস্থার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের পাঠক এবং কর্মীর সংখ্যা উভয়ই দ্রুত কমছে।
শন জিয়ানকোলা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ক্যালিফোর্নিয়া পোস্ট সংবাদ উপস্থাপনে একটি পরিচিত মিশ্রণ নিয়ে আসবে। তাঁরা একে ‘কমনসেন্স জার্নালিজম’ বলছেন।
পত্রিকায় থাকবে তারকাদের নিয়ে খবর ও বিনোদন সংবাদ, খেলাধুলা নিয়ে খবর। মোবাইল, ডেস্কটপ, অডিও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও প্রিন্টসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে তা প্রকাশিত হবে।
আমরা এরই মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেসে ৩০ লাখ মানুষের কাছে এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় ৭০ লাখের বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। তাই বলা যায়, সেখানে আমাদের এমন একটি পাঠক দল আছেন যাঁরা আগে থেকেই আমাদের ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত।শন জিয়ানকোলা, নিউইয়র্ক পোস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাজিয়ানকোলা বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেসে ৩০ লাখ মানুষের কাছে এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় ৭০ লাখের বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। তাই বলা যায়, সেখানে আমাদের এমন একটি পাঠক দল আছেন যাঁরা আগে থেকেই আমাদের ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত।’
এ বিষয়ে জানেন এমন একটি সূত্র বলেছে, নিউজ করপোরেশনের চেয়ারম্যান ইমেরিটাস রুপার্ট মারডক ক্যালিফোর্নিয়াকে একটি নতুন সম্ভাবনার বাজার হিসেবে দেখছেন এবং এ উদ্যোগে তাঁর আশীর্বাদ জানিয়েছেন।ওই সূত্র আরও বলেন, ‘আপনি তো এই ব্যবসায় সেরাদের একজনের মতামত না নিয়ে কোনো পত্রিকা চালু করতে পারেন না।’
ক্যালিফোর্নিয়ার সংবাদপত্রশিল্পের বিশ্লেষকদের মতে, নতুন এই ট্যাবলয়েডটি ডুবতে থাকা লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের দুরবস্থার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের পাঠক এবং কর্মীর সংখ্যা উভয়ই দ্রুত কমছে।নিউইয়র্ক পোস্ট ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মালিক নিউজ করপোরেশন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ যে সংবাদমাধ্যমটি চালু করেছিল, তাঁর না ছিল দ্য ডেইলি। সে সময়ে অ্যাপলের নতুন আইপ্যাড ট্যাবলেটের জন্য সেটি ছিল একটি ডিজিটাল সংবাদপত্র। দ্য ডেইলি চালু হয়েছিল ২০১১ সালে, পরের বছরই তা বন্ধ হয়ে যায়।
নিউইয়র্ক পোস্ট ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মালিক নিউজ করপোরেশন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ যে সংবাদমাধ্যমটি চালু করেছিল, তার নাম ছিল দ্য ডেইলি। সে সময়ে অ্যাপলের নতুন আইপ্যাড ট্যাবলেটের জন্য সেটি ছিল একটি ডিজিটাল সংবাদপত্র। দ্য ডেইলি চালু হয়েছিল ২০১১ সালে, পরের বছরই তা বন্ধ হয়ে যায়।বার্তা সংস্থা রয়টার্স থেকে ক্যালিফোর্নিয়া পোস্ট নিয়ে মন্তব্য জানাতে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের একজন মুখপাত্রকে অনুরোধ জানানো হলেও তাতে সাড়া মেলেনি।
আরও পড়ুনরুপার্ট মারডক ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ট্রাম্প১৯ জুলাই ২০২৫