বান্দরবানের থানচিতে খিয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।

সমাবেশে পিসিপির সভাপতি অমল ত্রিপুরা বলেন, ‘থানচিতে খিয়াং নারীকে ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটেছে, এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এ ঘটনা পাহাড়িদের ওপর নিপীড়নের বহিঃপ্রকাশ। এর আগে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়িদের ওপর হামলা এবং দোকানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছ। এসব ঘটনা জাতিগত নিপীড়নের বহিঃপ্রকাশ।’

পিসিপির সাধারণ সম্পাদক শুভাশীষ চাকমা বলেন, পাহাড়ি মানুষ দাবি আদায়ের জন্য সভা–সমাবেশ করলে বলা হয়, পাহাড়িরা বিচ্ছিন্ন হতে চায়। তকমা লাগানো হয়। প্রত্যেক নাগরিককে সংবিধানে স্ব স্ব দাবি ও অধিকার নিয়ে কথা বলার সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার থানচির তিন্দু এলাকায় এক খিয়াং নারীর (২৯) লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি বিবস্ত্র ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। নির্মাণাধীন থানচি-রেমাক্রি-লেইক্রি সড়কের নালার মধ্যে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। নিহত নারী তিন সন্তানের মা।

আরও পড়ুনথানচিতে নালায় মিলল খেয়াং নারীর লাশ, হত্যা সন্দেহ পাড়াবাসীর০৫ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইয়েমেনে বোমাবর্ষণ বন্ধের ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প

ইয়েমেনে বোমা হামলা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে তারা আর লড়াই করতে চায় না। আমরা তাদের এ প্রতিশ্রুতিকে সম্মান জানাব এবং বোমাবর্ষণ বন্ধ করব। হুতিরা আত্মসম্পর্ণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের প্রতিশ্রুতি বিবেচনায় নেব। হুথিরা জানিয়েছে, তারা আর জাহাজ ধ্বংস করবে না। আর আমরা এটির জন্যই বোমাবর্ষণ করছিলাম। আমি মনে করি এটি একটি ইতিবাচক বিষয়। তারা সমুদ্রে চলা অনেক জাহাজ উড়িয়ে দিচ্ছিল। যুক্তরাষ্ট্র হুতিদের ওপর এ মুহূর্ত থেকে বোমা হামলা বন্ধ করে দেবে। খবর আলজাজিরার

গত মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে রাজধানী সানাসহ বিভিন্ন জায়গায় বোমাবর্ষণ শুরু করে মার্কিন সেনারা। হুতিরা ফিলিস্তিনিদের পক্ষ হয়ে লোহিত সাগর ও বাব আল-মান্দাব প্রণালীসহ বিভিন্ন জায়গায় দখলদার ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছিল। তবে তারা যেন এসব হামলা না চালাতে পারে সেজন্য হুতিদের অবকাঠামো লক্ষ্য করে ব্যাপক পাল্টা হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। পরবর্তীতে ওমান জানায়, তাদের মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্র ও হুতিদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। 

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এবং হুতি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের এ আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ কারও ওপর এবং লোহিত সাগর ও বাব-আল মান্দাব প্রণালীতে মার্কিন জাহাজের ওপর হামলা চালাবে না। এরমাধ্যমে জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক শিপিং সুন্দরভাবে হওয়া নিশ্চিত হয়েছে। তবে হুতিরা এখনও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ