থানচিতে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার; বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
Published: 6th, May 2025 GMT
বান্দরবানের থানচিতে খিয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
সমাবেশে পিসিপির সভাপতি অমল ত্রিপুরা বলেন, ‘থানচিতে খিয়াং নারীকে ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটেছে, এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এ ঘটনা পাহাড়িদের ওপর নিপীড়নের বহিঃপ্রকাশ। এর আগে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়িদের ওপর হামলা এবং দোকানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছ। এসব ঘটনা জাতিগত নিপীড়নের বহিঃপ্রকাশ।’
পিসিপির সাধারণ সম্পাদক শুভাশীষ চাকমা বলেন, পাহাড়ি মানুষ দাবি আদায়ের জন্য সভা–সমাবেশ করলে বলা হয়, পাহাড়িরা বিচ্ছিন্ন হতে চায়। তকমা লাগানো হয়। প্রত্যেক নাগরিককে সংবিধানে স্ব স্ব দাবি ও অধিকার নিয়ে কথা বলার সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার থানচির তিন্দু এলাকায় এক খিয়াং নারীর (২৯) লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি বিবস্ত্র ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। নির্মাণাধীন থানচি-রেমাক্রি-লেইক্রি সড়কের নালার মধ্যে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। নিহত নারী তিন সন্তানের মা।
আরও পড়ুনথানচিতে নালায় মিলল খেয়াং নারীর লাশ, হত্যা সন্দেহ পাড়াবাসীর০৫ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘ইমাম হোসাইনের আদর্শ ধারণ করে মানবতার রাষ্ট্র কায়েম করতে হব
ইমাম হোসাইনের শাহাদাতে কারবালার চেতনা ধারণ করে ইনসানিয়াত বিপ্লবের মাধ্যমে মানবতার সমাজ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট ও ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলুশনের চেয়ারম্যান আল্লামা ইমাম হায়াত।
তিনি বলেন, “কথিত ইসলামের নামে এজিদের জঙ্গিবাদ ও অত্যাচারী ইসলাম বিরোধীশাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সত্য ও ন্যয়ের ইসলাম প্রতিষ্ঠাই পরিবারসহ ইমাম হোসাইন শাহাদাতের সুরা পান করেছিলেন। সেই শাহাদাতের পথ ধরে মানব মতবাদের অনাচার বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। ইনসানিয়াত বিপ্লবের মাধ্যমে মানবতার রাজনীতি গড়ে তুলতে হবে। মানবিক সমাজ ও রাষ্ট্র কায়েম করতে হবে।”
মুসলিম মিল্লাতের মহান শহীদ দিবস শাহাদাতে কারবালা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট ও ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলুশন, বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর শাখা আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইমাম হায়াত এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
আশুরা উপলেক্ষে শেকৃবিতে শিবিরের গণসেহরি
আশুরায় উজ্জীবিত হয়ে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে হবে
দশ-ই মহররম শাহাদাতে কারবালা দিবসকে ঈমানী অস্তিত্বের স্মারক ও মুসলিম মিল্লাতের মহান ঈমানী জাতীয় শহীদ দিবস এবং মানবতার মুক্তির মহা শাহাদাত উল্লেখ করে ইমাম হায়াত বলেন, “প্রাণপ্রিয় ইমামে আকবর ইমাম হুসাইন রাদিআল্লাহু আনহু অতুলনীয় মহান শাহাদাতের মধ্যেই নিহিত সত্য ও জীবনের মর্মধারা তথা দুনিয়ার পূর্বাপর সমস্ত জিহাদ ও শাহাদাতের সম্মিলিত পূর্ণ মর্ম।”
তিনি বলেন, “প্রাণপ্রিয় আহলে রাসুল ঈমান দ্বীনের প্রাণ ও হকের মানদণ্ড, তাদের ভালোবাসা ও সম্পর্ক ই আল্লাহতাআলা ও তার হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের ভালোবাসা ও সম্পর্ক এবং তাদের শত্রুতা ও বিচ্ছিন্নতাই আল্লাহতাআলা ও তার হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের শত্রুতা ও বিচ্ছিন্নতা।”
“এ শাহাদাতের দিশা হারিয়ে ফেলা ঈমান-দ্বীন-স্বাধীনতা-অধিকার হারিয়ে ফেলা এবং এ শাহাদাতের লক্ষ্য বাস্তবায়নেই দ্বীন-মিল্লাত-মানবতার অস্তিত্ব ও মুক্তি এবং বিজয় নিহিত। বাতিল মত-পথ-মুলুকিয়তের সহযোগী হয়ে এবং লক্ষ্যহীন নিছক আনুষ্ঠানিকতায় এ শাহাদাত দিবস পালনের স্বার্থকতা নেই।”
ইমাম হায়াত বলেন, “কাফের এজিদের কারবালায় ইমাম হুসাইন রাদিআল্লাহু আনহ ও পবিত্র আহলে রাসুলের এ শাহাদাত-ঈমান ও জীবনের বিপরীত বস্তুবাদি গোত্রবাদি কুফরি চেতনার গ্রাস থেকে সত্যের কলেমার তাওহীদ রেসালাত ভিত্তিক ঈমানী সত্তা-চেতনা-জাতীয়তা ও বস্তুবাদের ঊর্ধ্বে মানবসত্তা ও মানবাধিকার রক্ষার শাহাদাত।”
“কারাবালার শাহাদাত ইসলামের নীতি আদর্শ উৎখাতকারী মহান মকবুল সাহাবায়ে কেরামের সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত ইসলাম ও মানবতার বিশাল সাম্রাজ্য জবরদখলকারী এজিদ মোনাফেকি চক্রের বিণাসি গ্রাস থেকে ইসলামের মূলধারা রক্ষার মহান শাহাদাত।”
ইমাম হায়াত বলেন, “এ শাহাদাত এজিদ চক্রের উমাইয়া গোত্রবাদি স্বৈরদস্যুতন্ত্র মুলুকিয়তের ধ্বংসাত্মক গ্রাস থেকে সব মানুষের নিরাপত্তা-অধিকার-স্বাধীনতাভিত্তিক সর্বজনীন মানবতার রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও মানবিক সাম্যের ভিত্তিতে মুক্ত জীবনের মুক্ত দুনিয়া খেলাফতে ইনসানিয়াত রক্ষার মহান শাহাদাত।”
ইসলামের অস্তিত্বের এ ঈমানী শাহাদাত নিয়ে বাতিল শিয়াবাদের বিকৃতি ও এজিদপন্থী বাতিল খারেজিদের বিকৃতি ও প্রতারণা সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির মহাসচিব আল্লামা শেখ রায়হান রাহবার, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা আবু আবরার চিশতী ও সুফি আহমদ শাহ মোর্শেদ, কেন্দ্রীয় নেতা আল্লামা জাকের আহসান প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে দেশ জাতি ও মুসলিম মিল্লাতের সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। নেতাকর্মীরা র্যালি বের করেন। র্যালিটি গুরত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ