চট্টগ্রামে র‌্যাবের কার্যালয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ সাহার আত্মহত্যার কারণ জানালের তার মেঝ ভাই নন্দ লাল সাহা। আজ বুধবার (৭ মে) চট্টগ্রাম র‌্যাব কার্যালয়ের নিজ অফিস থেকে পলাশ সাহার লাশ উদ্ধার করা হয়।

পলাশ সাহার লাশের পাশ থেকে চিরকুট পাওয়া যায়। তিনি র‌্যাব-৭ এ কর্মরত ছিলেন। চিরকুটে তার নিজের মৃত্যুর জন্য স্ত্রী বা মাকে দায়ী করেননি। নিজেকে দায়ী করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।

পলাশ সাহা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশী গ্রামের মৃত বিনয় কৃষ্ণ সাহার ছেলে।

আরো পড়ুন:

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ডাকাতি চেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

পাবনায় গ্রাহকদের সাড়ে ৭ কোটি টাকা নিয়ে উধাও এনজিও 

মৃত পলাশ সাহার মেঝ ভাই নন্দ লাল সাহা জানান, দুই বছর আগে ফরিদপুরের চৌধুরীপাড়ায় পলাশের বিবাহ হয়। বিয়ের ৬/৭ মাস পর থেকে পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। প্রতিদিন কিছু না কিছু নিয়ে পলাশের স্ত্রী সুস্মিতা সাহা পরিবারে ঝামেলা করতেন। মা আরতি সাহা ছেলে পলাশের সংসারে চট্টগ্রামে থাকতেন। এটা পলাশের স্ত্রী মেনে নিতে পারতেন না। তিনি সব সময় শাশুড়িকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য পলাশকে চাপ দিতেন। পলাশ মাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে চাইতেন না। পলাশ মা ও স্ত্রী দুইজনকেই ভালোবাসতেন।

নন্দ লাল সাহা বলেন, ‘‘আজ বুধবার (৭ মে) সকালে সামান্য বিষয় নিয়ে আমার মা আরতি সাহা ও ভাই পলাশ সাহার গায়ে হাত তোলেন সুস্মিতা সাহা। এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি আমার ভাই। আর এ কারণেই আমার ভাই পলাশ সাহা আত্মহত্যা করেছেন বলে আমাদের ধারণা।’’

ঢাকা/বাদল/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পল শ স হ র পল শ র

এছাড়াও পড়ুন:

‘সুমাইয়া জাফরিন’ নামে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা নেই: পুলিশ সদর দপ্তর

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাসংলগ্ন একটি কনভেনশন সেন্টারে ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের ২২ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই বৈঠকে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠা মেজর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সেনাবাহিনী। ওই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী ‘পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুমাইয়া জাফরিন’একই বৈঠকে ছিল বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্মে খবর প্রকাশিত হয়।

বিষয়টি পুলিশের দৃষ্টিগোচর হলে পুলিশ সদর দপ্তর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, ‘সুমাইয়া জাফরিন’ নামে পুলিশের কোনো নারী কর্মকর্তা নেই। আজ শনিবার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ওই বিজ্ঞপ্তি সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুননিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতা–কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে এক মেজর৩১ জুলাই ২০২৫

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সুমাইয়া জাফরিন নামে এক নারীকে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। সকলের বিভ্রান্তি নিরসনের জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ পুলিশে সুমাইয়া জাফরিন নামে কোনো নারী কর্মকর্তা নেই।’

আরও পড়ুনসেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে: আইএসপিআর০১ আগস্ট ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘সুমাইয়া জাফরিন’ নামে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা নেই: পুলিশ সদর দপ্তর