প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো নিজ জেলায় আসছেন তিনি। আগামী বুধবার ড. ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সমাবর্তনে যোগদানের পাশাপাশি তাঁর পৈতৃক বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের জোবরা গ্রামও পরিদর্শন করবেন। প্রধান উপদেষ্টার সফরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নিজ জেলার সন্তানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন জনগণ। প্রধান উপদেষ্টার সফরসূচি অনুসারে বন্দরের অভ্যন্তরে এনসিটি-৫ প্রাঙ্গণে একটি সভায় যোগ দেবেন। সেখানে বন্দর ও জাহাজ চলাচল খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাণিজ্য সংস্থার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি।

জানা গেছে, অধ্যাপক ইউনূস বন্দর থেকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে যাবেন। সেখানে তিনি কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন। চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের দলিলসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবেন প্রধান উপদেষ্টা। দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের উদ্দেশে সার্কিট হাউস ত্যাগ করবেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠান। সমাবর্তনে ২০১১ থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ২২ হাজার ৬০০ জন শিক্ষার্থীকে সনদপত্র প্রদান করা হবে। এই অনুষ্ঠানে ২০১৫-২০২৫ সালের ২২ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম সমকালকে বলেন, উপাচার্যের নেতৃত্বে ও তত্ত্বাবধানে সমাবর্তন অনুষ্ঠান সফল করার জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছি। সমাবর্তনে দেশের যে কোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন হবে। কারণ এ জমকালো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রায় এক লাখ মানুষ ক্যাম্পাসে সমবেত হবেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রস ত ত অন ষ ঠ ন করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

শাহরিয়ারের প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান শিক্ষক-সহপাঠীদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার মূল কারণ উদ্‌ঘাটন এবং প্রকৃত আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং শাহরিয়ারের সহপাঠী-বন্ধুরা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিট থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা নিজ বিভাগের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। পরে তাঁরা সেখান থেকে মিছিল নিয়ে হলপাড়া হয়ে অপরাজেয় বাংলার সামনে অবস্থান নেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার একই দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে অবস্থান কর্মসূচি পালনকারীরা জানিয়েছিলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত তাঁরা তদন্ত কার্যক্রমের অগ্রগতি দেখবেন। তদন্ত কার্যক্রমে সন্তুষ্ট না হলে এবং মূল খুনিদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সঙ্গে নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে লংমার্চ করবেন।

তবে আজ অবস্থান কর্মসূচি থেকে আগামী রোববার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও শাহরিয়ারের সহপাঠী মশিউর আমিন প্রথম আলোকে বলেন, রোববারের মধ্যে যদি হত্যার মূল কারণ উদ্‌ঘাটন ও প্রকৃত আসামিকে গ্রেপ্তার না করা হয়, তাহলে রোববার বা সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে লংমার্চ করা হবে।

আরও পড়ুনশাহরিয়ার হত্যা মামলার অগ্রগতি জানতে উপাচার্যের সঙ্গে সাদা দলের বৈঠক১৭ ঘণ্টা আগে

অবস্থান কর্মসূচিতে মশিউর আমিন বলেন, ‘বলা হচ্ছে, তদন্তের স্বার্থে নাকি অনেক কিছু বলা যাবে না। কিন্তু মনে হচ্ছে, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এটা খুবই দুঃখজনক যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকায় আমরা নিরাপদ নই। আমাদের চাওয়া হলো, হত্যাকারী যেন বাঁচতে না পারে। তাঁর (শাহরিয়ার আলম সাম্য) হত্যাকারীর যেন দ্রুত বিচার হয়। কিন্তু আজ প্রায় ১০ দিন পার হয়ে গেলেও সাম্য হত্যার মূল আসামিকে পুলিশ বা ডিবি গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অথচ হত্যাকারী কে, এটা বের করা আসলে খুব কঠিন কিছু নয়। আসামিদের রিমান্ড শেষ হওয়ার পরও যদি প্রকৃত খুনিকে গ্রেপ্তার করা না হয়, তবে আমাদের শক্ত অবস্থানে যেতে হবে। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে লংমার্চ করতে বাধ্য হবো।’

আরও পড়ুনসোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কমিটি গঠন২১ ঘণ্টা আগে

একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আবদুল হালিম সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বলেন, ‘আমরা সঠিক বিচার চাই। আমরা সাম্যকে হারিয়েছি। সাম্য হয়তো ফিরে আসবে না, কিন্তু কোনো সাম্য যেন আর হত্যার শিকার না হয়, দুর্ঘটনার শিকার না হয়—সেই অবস্থা আমরা আর দেখতে চাই না।’

আরও পড়ুনশাহরিয়ারের খুনিদের গ্রেপ্তার এবং উপাচার্য-প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান২১ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ