মহানগর-এর ‘ওসি হারুন’ থেকে ‘মোবারকনামা’র মোবারক- মোশারফ করিম এতদিন হইচই-র দর্শকদের মনে দাগ কেটেছেন তার সিরিয়াস ও ইনটেন্স চরিত্রে অভিনয় দিয়ে। ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’-তে ট্রাক ড্রাইভার আব্বাস চরিত্রটি হইচই-এর দর্শকদের জন্য হতে যাচ্ছে এক দারুণ চমক। এই সিরিজে তার সঙ্গে অভিনয় করেছেন একঝাঁক অভিনেত্রী।

মোশাররফ করিম ছাড়াও এ সিরিজে অভিনয় করেছেন তানজিকা আমিন, রুনা খান, মৌসুমী হামিদ, সাদিয়া আয়মান, জুই করিম, ফারহানা হামিদ, অদিতি, বৃষ্টিসহ আরও অনেকে।

মোশাররফ করিম বলেন, ‘অমিতাভ রেজার সঙ্গে এতো বড় পরিসরে এটাই আমার প্রথম কাজ। সেই সাথে দুর্দান্ত গল্প ও চরিত্রের কারণেই এই সিরিজের সঙ্গে আমার যুক্ত হওয়া। আর হইচই-এর সাথে আমার সম্পর্কটা তো বহুদিনের তাই এই সিরিজটা নিয়েও প্রত্যাশা অনেক। দর্শক বোহেমিয়ান ঘোড়া তে সম্পূর্ণ নতুন কিছু পাবে বলে আমার বিশ্বাস।’

হইচই অরিজিনাল সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’-তে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুনা খান। হইচইয়ের পর্দায় এর আগেও বেশকিছু চরিত্রে তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। তবে এই সিরিজে তার চরিত্রটি একদম ভিন্ন; গরম মেজাজের ও আত্মবিশ্বাসী এক নারীর। 

বাস্তব জীবনে তানজিকা আমিন যেমন ঠিক তার বিপরীত চরিত্রে দেখা যাবে তাকে ‘বোহেমিয়া ঘোড়া’-তে । মৌসুমি হামিদকে দেখা যাবে নারী মৌয়ালের চরিত্রে। সাদিয়া আয়মান অভিনয় করেছেন ছটফটে, চঞ্চল এক তরুণীর ভূমিকায়। জুই করিমকে দর্শক দেখবে একদম নতুন আঙ্গিকে। সাথে আছে ফারহানা হামিদ, তার চরিত্রে রয়েছে সংযম, অনুভূতি আর নিঃশব্দ এক অভিজ্ঞান—যা দর্শকদের ছুঁয়ে যাবে। এছাড়া অদিতি ও বৃষ্টি দুইজন নতুন মুখের আবির্ভাব ঘটেছে এই সিরিজে।

পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী বলেন, ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া সিরিজে আব্বাস কীভাবে ভালোবাসা, প্রত্যাশা আর সন্দেহ একসাথে সামলান, সেই কৌতুকপূর্ণ জটিলতা উঠে এসেছে—সাথে আছে নানা ধরনের রোড অ্যাডভেঞ্চার। আর যারা অভিনয় করেছে তারা সবাই আমার প্রাণের মানুষ। দুর্দান্ত এক জার্নি ছিল আমাদের সবার। এখন শুধু অপেক্ষা হইচই-এর দর্শকের কাছে আমাদের বোহেমিয়ান ঘোড়া পৌঁছানোর।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এই স র জ চর ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিয়ে উড়োজাহাজে গ্রেপ্তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পতন চেয়ে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে ৪১ বছর বয়সী এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার লন্ডনের লুটন বিমানবন্দর থেকে গ্লাসগোগামী একটি ফ্লাইটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি লন্ডনের কাছে বেডফোর্ডশায়ারের লুটন শহরের বাসিন্দা।

অভয় নায়েক ইজিজেট ফ্লাইটে হামলা ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার মতো আচরণ করেছেন। তিনি উড়োজাহাজে বোমা ফাটানোর হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি মাঝ আকাশে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্লোগান দিয়ে চিৎকার করেছিলেন, যা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।

ওই ঘটনার একটি ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, অভয় নায়েক স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আমেরিকার পতন হোক’, ‘ট্রাম্পের পতন হোক’। এরপরই তিনি ‘আল্লাহু আকবর’ (যার অর্থ ‘আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ’) বলে স্লোগান দেন। পরে দুজন ব্যক্তি তাঁকে কাবু করে উড়োজাহাজের মেঝেতে ফেলে দেন।

ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি কোন ধর্মের অনুসারী, সে ব্যাপারে তাৎক্ষিণক কিছু জানা যায়নি।

ওই ব্যক্তির এমন আচরণের পর পাইলটরা বাধ্য হয়ে গ্লাসগোতে জরুরি অবতরণ করেন। সেখানেই স্কটিশ পুলিশ এসে অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করে।

স্কটল্যান্ডের পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গত রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে গ্লাসগোতে পৌঁছানো ইজিজেটের একটি ফ্লাইটে এক ব্যক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, ঘটনাটি এককভাবে ওই ব্যক্তির, অন্য কেউ জড়িত নন। যেসব ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছে, সেগুলো সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন।’

উড়োজাহাজ অবতরণের পরই অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।

ইজিজেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বেপরোয়া আচরণের কারণে একজন যাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে তদন্তে সহযোগিতা করছি।’

পাইসলি শেরিফ আদালতে হাজিরার সময় অভয় নায়েক কোনো বক্তব্য দেননি। তাঁকে বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে তাঁকে আবার আদালতে হাজির করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ