দেশের বাজারে সোনার দাম কমেছে। এ দফায় ভরিতে সর্বোচ্চ দাম কমেছে ১ হাজার ৫০ টাকা। তাতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৬১ টাকা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) গতকাল শনিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম কমানোর কথা জানায়। বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম কমে যাওয়ায় নতুন করে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। নতুন দাম আজ রোববার থেকে কার্যকর হয়েছে।

গত ২৩ এপ্রিল দেশে সোনার দাম ভরিতে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৩৪২ টাকা বেড়েছিল। তখন ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে হয়েছিল ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকা। দেশের বাজারে সেটিই এখন পর্যন্ত সোনার সর্বোচ্চ দাম। সর্বশেষ ৮ মে দেশের বাজারে সোনার দাম কমেছিল। তাতে ভালো মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমে হয়েছিল ১ লাখ ৭১ হাজার ৮১১ টাকা।

বাজুসের নতুন সিদ্ধান্তের ফলে আজ রোববার থেকে দেশের বাজারে হলমার্ক করা প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট মানের সোনা ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৬১ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭১১ টাকায় বিক্রি হবে। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম কমে দাঁড়ায় ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৩২ টাকা।

এদিকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত প্রতি ভরি হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনা ১ লাখ ৭১ হাজার ৮১১ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৭৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনা ১ লাখ ১৬ হাজার ২৬৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেই হিসেবে আজ থেকে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনায় ১ হাজার ৫০ টাকা, ২১ ক্যারেটে ৯৯২ টাকা, ১৮ ক্যারেটে ৮৬৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনায় ৭৩৫ টাকা দাম কমেছে।

এদিকে রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ২ হাজার ৮১১ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ২ হাজার ২৯৮ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির রুপা ১ হাজার ৭২৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, সোনা ও রুপার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও সমিতির নির্ধারিত ৬ শতাংশ ন্যূনতম মজুরি যুক্ত করতে হবে। গয়নার নকশা ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ন র দ ম কম ২২ ক য র ট র ২১ ক য র ট ১৮ ক য র ট দ ম কম ছ

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশের হাতে ‘মারণাস্ত্র’ থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পুলিশের হাতে চাইনিজ রাইফেল, সাব মেশিন গান, ৯ এমএম পিস্তলের মতো ‘মারণাস্ত্র’ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) কাছে। পুলিশের কাছে থাকা মারণাস্ত্র জমা দেবে।

আজ সোমবার আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির নবম সভা শেষে সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্ত জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

ছাত্র–জনতার অভুত্থ্যানে গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন মহল থেকে পুলিশের হাতে প্রাণঘাতী অস্ত্র না রাখার দাবি ওঠে। গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ডিসি সম্মেলনেও একাধিক ডিসি পুলিশের হাতে এ ধরনের অস্ত্র না রাখার সুপারিশ করেছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘মারণাস্ত্র শুধু থাকবে এপিবিএনের হাতে। পুলিশের অভিযানে যেতে মারণাস্ত্রের প্রয়োজন নেই।’

কবে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে– এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আজ শুধু সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেকোনো সিদ্ধান্ত সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়ন হয় না। কিছুটা সময় লাগবে।’

পুলিশের হাতে কোন কোন ধরনের অস্ত্র রাখা যাবে, কীভাবে কাজ করবে সেসব বিষয় ঠিক করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

র‌্যাব পুনর্গঠন নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, র‌্যাব এখনকার নামে থাকবে কি না, বর্তমান পোশাক থাকবে কি না, পুনর্গঠন কীভাবে হবে–এসব পর্যালোচনা করতে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজকে। এ কমিটি হবে পাঁচ থেকে ছয় সদস্যের। বিভিন্ন বাহিনী থেকে কমিটির সদস্য করা হবে। এ কমিটি চাইলে সদস্য সংখ্যা বাড়াতে পারবে। এই কমিটি র‌্যাবের নাম থাকবে কি থাকবে না, তাদের কার্যক্রম কেমন হবে এসব ঠিক করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ