শুরু হলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন। দিনব্যাপী এই আয়োজনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে দুপুরে বক্তব্য রাখবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নয় বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সমাবর্তনে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থী।

বুধবার সকাল ৭টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে সমাবর্তীদের উপস্থিতি শুরু হয়েছে। গাউন সংগ্রহ, স্মৃতিচারণ ইত্যাদি কার্যক্রম শেষে সমাবর্তীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করবেন। দুপুর দুইটা থেকে শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান। 

সমাবর্তনের প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ড.

মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এই অনুষ্ঠানে সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার (ডি-লিট) ডিগ্রি গ্রহণ করবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ইয়াহইয়া আখতার।

এছাড়া উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ, এবং আরও চারজন উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠান কার্যক্রম
অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হবে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে অতিথিদের আসন গ্রহণের মাধ্যমে। ১টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে সমাবর্তন শোভাযাত্রা, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ জন শিক্ষক অংশ নেবেন। তবে এই শোভাযাত্রায় গ্র্যাজুয়েটরা অংশ নিতে পারবেন না। মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে বেলা ২টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

প্রধান উপদেষ্টার চট্টগ্রাম জুড়ে কার্যক্রম 
ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ সকালেই চট্টগ্রাম বন্দরে যাবেন। এরপর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে পানি সংকট নিয়ে এক বৈঠকে অংশ নেবেন। সেখান থেকে সার্কিট হাউসে স্বল্প সময় অবস্থান করে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রওনা হবেন। ক্যাম্পাসে পৌঁছে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ঘুরে দেখবেন, কনভোকেশন ভেন্যু থেকে বের হয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয় ও উপাচার্যের বাসভবন পরিদর্শন করবেন। বিকেল ৬-৭টার মধ্যে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে কালুরঘাটে যাবেন তিনি। সেখান থেকে তিনি হয় সার্কিট হাউসে ফিরে যাবেন, নয়ত সরাসরি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।

এবারের সমাবর্তনে ৪২ জন পিএইচডি ও ৩৩ জন এমফিল ডিগ্রিধারীসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদান করা হবে। এই বিশাল আয়োজনকে ঘিরে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৩ কোটি টাকায় নির্মিত হয়েছে দেড় লাখ স্কয়ার ফিটের অত্যাধুনিক প্যান্ডেল। সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অতিথিসহ প্রায় এক লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে ধারণা করছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

মোদিকে কাপুরুষ বললেন ইমরান খান

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘কাপুরুষতা’র প্রতি প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য পাকিস্তানের জনগণ এবং সশস্ত্র বাহিনীকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বুধবার এক্স-এ এক পোস্টে তিনি এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

কারাগারে আটক ইমরান খান সরাসরি তার এক্স অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন না। কারাগারে আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠানো মন্তব্য তার দলের সংশ্লিষ্ট নেতা এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন।

ইমরান খান বলেছেন, “আমি সবসময় বলেছি, এই দেশ আমার এবং সেনাবাহিনীও তাই। আমাদের সেনারা যেভাবে আকাশ ও স্থল উভয় ফ্রন্টেই মোদিকে পরাজিত করেছে, তেমনি পাকিস্তানের জনগণ, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায়, বিশ্বব্যাপী মোদি এবং আরএসএসের আখ্যানকে উন্মোচিত ও ভেঙে দিয়েছে।”

ইমরান বলেছেন, “পাকিস্তানের শিশু, মহিলা, বয়স্ক এবং বেসামরিক অবকাঠামোর মতো নিরীহ বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করে মোদি কাপুরুষতা প্রদর্শন করেছেন।”

তিনি আরো বলেছেন, “আমরা এই কাপুরুষোচিত হামলায় শহীদ বেসামরিক ও সামরিক কর্মীদেরপরিবারের সাথে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছি।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ