অভিনয়ে নেই বললেই চলে বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা। তারপরও প্রায়ই খবরের শিরোনাম হন ‘কাল হো না হো’ তারকা। জীবনের এ পর্যায়ে এসে প্রীতি জানালেন, তার প্রথম প্রেমিক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান।

মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে প্রায়ই ভক্তদের সঙ্গে আড্ডা দেন প্রীতি। অনুরাগীদের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে দেখা যায়। কয়েক দিন আগে এমন এক সেশনে এক ভক্ত লেখেন, “ম্যাম, আমি আপনার ‘কাল হো না হো’ সিনেমা যতবার দেখি, ততবার শিশুর মতো কাঁদতে থাকি। আপনি ন্যায়না ক্যাথরিন কাপুর চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। এ থেকে শিক্ষা পাওয়া যায়, ভালোবাসাকে কখনো কখনো দূরেও যেতে দিতে হয়।”

এর উত্তরে প্রীতি জিনতা লেখেন, “হ্যাঁ, আমিও যখন এটা দেখি তখন কেঁদে ফেলি। আমরা শুটিংয়ের সময়ও কেঁদেছি। আমার প্রথম ভালোবাসা (প্রেমিক) গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। তাই এই সিনেমা আমাকে সবসময় অন্যভাবে আঘাত করে। এই সিনেমার বেশির ভাগ দৃশ্যেই সব অভিনেতা-অভিনেত্রী স্বাভাবিকভাবেই কেঁদেছেন। আর আমানের মৃত্যুর দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের সময়ে ক্যামেরার সামনে ও পিছনে সবাই কেঁদেছিলেন।”

আরো পড়ুন:

বলিউড তারকারা কেন সরকারবিরোধী কথা বলেন না?

কথা বলতে সমস্যা, কানেও কম শুনেন সাইফপুত্র ইব্রাহিম

২০০৩ সালের ২৮ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছিল বলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা ‘কাল হো না হো’। সিনেমাটির প্রধান তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেন শাহরুখ খান, সাইফ আলী খান ও প্রীতি জিনতা। এটি পরিচালনা করেন নিখিল আদভানি।

সময়ে সঙ্গে জল অনেক গড়িয়েছে। প্রীতি তার অতীত আকড়ে ধরে বেঁচে নেই। একাধিক প্রেম তার জীবনে এসেছে। সর্বশেষ মার্কিন নাগরিক জেনে গুডএনাফের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন এই অভিনেত্রী। সারোগেসির মাধ্যমে জমজ সন্তানের বাবা-মা হয়েছেন তারা।

রুপালি পর্দায় প্রীতি জিনতাকে দীর্ঘ দিন দেখা যায়নি। ২০১৮ সালে ‘ভাইয়াজি সুপারহিট’ সিনেমায় সর্বশেষ অভিনয় করেন। এরপর বড় পর্দায় তার দেখা মেলেনি। দীর্ঘ বিরতির পর ফের বড় পর্দায় ফিরছেন এই অভিনেত্রী। ‘লাহোর ১৯৪৭’ সিনেমায় সানি দেওলের সঙ্গে জুটি বেঁধে ফিরবেন প্রীতি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২১ মে সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রিন্সেস ডায়ানাকে নিয়ে আলোচিত পাঁচ বই

প্রিন্সেস ডায়ানাকে নিয়ে বহু জীবনী, উপন্যাস ও স্মৃতিগ্রন্থ লেখা হয়েছে। তাঁর চরিত্রটি তো শুধু ব্যক্তিগত নয়; বরং সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এমনকি অস্তিত্বগত প্রশ্নেরও জন্ম দিয়েছে। তাঁর জীবন এবং চারপাশে তৈরি হওয়া গল্পগুলো যেন একেকটি ‘মিথ’। তার দুখী দুখী চোখ, মানবিক ও সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি হয়ে উঠেছে প্রজন্মের পর প্রজন্মের কল্পনার অংশ। ডায়ানার জীবন ও চরিত্র এতটাই জটিল আর বহুমাত্রিক যে বিভিন্ন লেখক একেক দৃষ্টিতে সেসব তাঁদের লেখায় হাজির করেছেন। কেউ তাঁকে ট্র্যাজিক চরিত্র, কেউ আত্মবিপর্যস্ত নারী, কেউবা মিডিয়া আইকন ও ভুক্তভোগী, কেউ আবার অন্তরঙ্গ সেবকের দৃষ্টিতে কিংবা পালিয়ে যাওয়া নারীর প্রতীকরূপে ডায়ানাকে তুলে এনেছেন তাদের লেখায়।

অ্যান্ড্রু মরটনের ডায়ানা: হার ট্রু স্টোরি—ইন হার ওন ওয়ার্ডস

ডায়ানাকে নিয়ে লেখা সবচেয়ে আলোচিত বই। প্রথম সংস্করণে জাঁকজমকপূর্ণ রাজকীয় জীবনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা রাজকন্যা ডায়ানার নিঃসঙ্গতা এবং ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্দরমহলের নানা গোপনীয়তা, তাঁর সাংসারিক জীবনের নিগূঢ় বাস্তবতা উঠে আসে। রাজপরিবারের এসব দুর্ভেদ্য তথ্য উঠে আসায় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

অ্যান্ড্রু মরটন

সম্পর্কিত নিবন্ধ