চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে কেএনএফ সদস্য এক বন্দীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম লাল প্লে কিং বম। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক ইকবাল হোসেন আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারের কর্ণফুলী ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বন্দী ছিলেন লাল প্লে বম। আজ সকাল আটটার দিকে ঘুম থেকে ওঠে চিৎকার শুরু করেন তিনি। তাঁর হাত-পায়ে খিঁচুনি এসে যায়।

দ্রুত কারা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে আনা হয়েছে।

কারা সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল লাল প্লে বম গ্রেপ্তার হন। একই বছরের ২৬ জুন বান্দরবান থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয় তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাংক ডাকাতি অপহরণসহ চারটি মামলা রয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম কারাগারে ১০০ কেএনএফ সদস্য বন্দী রয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

'কেএনএফের' ইউনিফর্ম উদ্ধারের মামলায় ইউপিডিএফ সদস্য গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে সন্দেহজনক ইউনিফর্ম উদ্ধারের ঘটনায় এবার পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন ইউপিডিএফের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমবার রাতে বায়েজিদ বোস্তামি থানার জালালাবাদ কুলগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার সুজন বড়ুয়া ওরফে সাইমন (২৯) খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি থানার সাঁওতাল পাড়ার অশোক বড়ুয়ার ছেলে। র‌্যাব জানিয়েছে, পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন ‘কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ)’ ইউনিফর্ম জব্দের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার পলাতক আসামি সুজন বড়ুয়া।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন জানান, গত ১৮ মে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলার পলাতক আসামি সুজন বড়ুয়া। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার সুজন বড়ুয়ার বিরুদ্ধে চুরি ও নাশকতার অভিযোগে দুইটি মামলা রয়েছে। তাকে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গত মে মাসে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় চার দফা অভিযান চালিয়ে ৪৭ হাজার ৫৮৫ পিস ইউনিফর্ম ও ৩১৫ ফুট ইউনিফর্মের থান কাপড় জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে তিনটি। জড়িত ১৫ জনের নাম পেয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে থেকে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল হোতা হিসেবে মংহ্লাসিন মারমা ওরফে মং মারমাকে শনাক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করতে পারতে পারেনি পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • 'কেএনএফের' ইউনিফর্ম উদ্ধারের মামলায় ইউপিডিএফ সদস্য গ্রেপ্তার