পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দেবীডুবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অনুপম রায়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার রাত ৯টায় উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের গালান্ডী বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অনুপম দেবীডুবা ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামের অনন্ত রায়ের ছেলে।

পুলিশ সূত্র জানায়, গত বছরের ৪ আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একটি মিছিলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে উপজেলার দণ্ডপাল ইউনিয়নের রবিউল ইসলাম নামে এক যুবক ১৮ অক্টোবর ৪২ জনের নাম উল্লেখসহ ১ হাজার ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে দেবীগঞ্জ থানায় একটি  মামলা দায়ের করেন। ওই হামলার ঘটনায় অনুপমের প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা ছিল।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) প্রবীর কুমার সরকার বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা চেষ্টা মামলায় অনুপমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, গ্রেপ্তার অনুপম আওয়ামী শাসনামলে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিল। ৫ আগস্ট পরবর্তী তিনি অবৈধ পথে ভারতে গিয়ে আত্মগোপন করেন। সচেতন মহলের ধারণা দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সম্প্রতি সে পুনরায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ আওয় ম ল গ ন ত

এছাড়াও পড়ুন:

রিমান্ড শেষে কারাগারে মমতাজ

রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকায় মো. সাগর নামের এক হকারকে হত্যার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (১৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

চার দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার সকালে মমতাজ বেগমকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম। মমতাজের পক্ষে অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান লিংকন জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ১৯ জুলাই মিরপুর গোলচত্ত্বরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন হকার মো. সাগর। ওই দিন বিকেল ৪টায় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর নিহতের মা বিউটি আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৪২ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

ঢাকা/এম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ