চা পছন্দ করে না এমন মানুষ কমই আছে । কেউ কেউ তো সারাদিনে কয়েক চা পর্যন্ত চা খান। চা যে শুধুই আমাদের শারীরিক আরাম দেয়, ক্লান্তিও দূর তা নয়, রূপচর্চাতেও বেশ কাজে লাগে। চায়ের মধ্যে থাকা ট্যানিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের সজীবতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে। শ্যাম্পুর করার পর চায়ের লিকার দিয়ে চুল ধুয়ে নিলে, চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন চায়ের লিকার
১.
২. চা বানিয়ে ঠান্ডা করে নিন। শ্যাম্পু করার পর এতে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে চুলে ধুয়ে ফেলুন। এরপর হালকা নরম তোয়ালে দিয়ে চুল ভালো করে আলতো চাপ দিয়ে মুছে নিন।
৩. চা ফুটে উঠলে তাতে তুলসি পাতা মিশিয়ে । ভালোভাবে ফুটিয়ে চা ঠান্ডা হতে দিন। তার পর লেবুর রস মিশিয়ে চুলে লাগান। চুল থাকবে প্রাণবন্ত।
৪. চুল পড়া রোধ ও চুলের বৃদ্ধিতে চায়ের লিকার খুব ভালো কাজ করে। চা পাতা পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এরপর এই পানি স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। এই পানি মাথার তালুতে স্প্রে করুন। নিয়মিত এটা স্প্রে করলে চুল পড়া কমবে ও চুলের বৃদ্ধি ভালো হবে। বোতল একসপ্তাহ মতো ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করতে পারেন।
৫. অনেকের অল্প বয়সে চুল পাকতে শুরু করে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চায়ের লিকার ব্যবহার করতে পারেন। পাকা চুলে কালো রঙ পেতে চাইলে চা পাতার সঙ্গে হেনার রস মেশান। এই প্যাক চুলে লাগিয়ে আধঘণ্টা রেখে দিন। ভালোভাবে শুকালে চুলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ ল র যত ন
এছাড়াও পড়ুন:
তানভীরের চতুর্থ শিকার ভেল্লালাগে
ওয়েলাগেকে নিজের চতুর্থ শিকার বানালেন তানভীর। তাতে ১২৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে আরও বিপদে স্বাগতিক দল।
কামিন্দুকে ফেরালেন তানভীর
চতুর্থ উইকেট পতনের পর জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন জেনিথ ও কামিন্দু। ২৫তম ওভারে সেই জুটি ভাঙার সুযোগ এনে দিয়েছিলেন শামীম। কামিন্দুর ক্যাচ উইকেটের পেছনে গেলেও সেটা নিতে পারেননি জাকের। তবে পরের ওভারে তানভীর ইসলাম ঠিকই তুলে নেন কামিন্দুর উইকেট। বোলিংয়ে এসেই কামিন্দুকে আউট করেছেন তানভীর। কামিন্দু ৫১ বলে ৩৩ রানে বিদায় নিয়েছেন। এটি এই স্পিনারের তৃতীয় উইকেট।
আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে স্বস্তি এনে দিলেন শামীম
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য এনে দেন পেসার তানজিম সাকিব। এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে ফেরান ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কাকে। ৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা, নিসাঙ্কা ফেরেন ৫ রানে।
এরপর ইনিংস গুছিয়ে নিতে থাকেন কুশল মেন্ডিস ও নিশান মাদুশকা। দুজন মিলে দ্রুত রান তুলতে থাকেন, যার বেশিরভাগই আসে কুশলের ব্যাট থেকে। মাত্র ২০ বলে অর্ধশতক তুলে নেন কুশল। তাদের জুটিতে অষ্টম ওভারেই লঙ্কানদের স্কোর ছাড়ায় পঞ্চাশ। তবে ৯.৩ ওভারে ৬৯ রানের জুটি ভাঙেন তানভীর ইসলাম। ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে ধোঁকা খেয়ে মাদুশকা ক্যাচ তুলে দেন হৃদয়ের হাতে। ২৫ বলে ১৭ রান করেন মাদুশকা, ইনিংসে ছিল ৩টি চার।
মাদুশকার বিদায়ের পরও থেমে থাকেননি কুশল মেন্ডিস। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বাংলাদেশের বোলারদের চাপে রাখেন। কিন্তু ১১.৫ ওভারে আবারও আঘাত হানেন তানভীর ইসলাম। এই বাঁহাতি স্পিনারের বলে এলবিডাব্লিউ হন কুশল। যদিও শুরুতে আম্পায়ার আউট দেননি, বাংলাদেশের নেওয়া রিভিউয়ে সিদ্ধান্ত বদলায়। কুশল আউট হন ৩১ বলে ৫৬ রান করে, ইনিংসে ছিল ৯ চার ও ১ ছক্কা।
এরপর দ্রুত আরও একটি সাফল্য এনে দেন শামীম হোসেন। ইনিংসের ১৮.৪ ওভারে লঙ্কান অধিনায়ক আসালাঙ্কাকে (১৭ বলে ৬ রান) আউট করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে দেন তিনি। তানভীর ইসলামের হাতে ক্যাচ বানিয়ে আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে দেন শামীম। এতে ৯৯ রানে শ্রীলঙ্কার পড়ে চতুর্থ উইকেট।
এর আগে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করে ৪৫.৫ ওভারে ২৪৮ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।