পাবনার ঈশ্বরদীতে বালুমহাল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ছয় জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- সেলিম হোসেন, চপল সরদার, রেজাউল হক ওরফে লালু, শওকত ইসলাম, রিপন হোসেন ও সানাউল্লাহ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদীর সাঁড়া এলাকার পদ্মা নদীর বালু ব্যবসা নিয়ে কুষ্টিয়ার মো.

কাকন ও ঈশ্বরদীর সুলতান আলী টনি বিশ্বাসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বুধবার উভয়পক্ষ পদ্মার চরে মহড়া দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

আরো পড়ুন:

আম পাড়া নিয়ে নাটোরে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, গুলি 

ঝিনাইদহে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০, বাড়ি ভাঙচুর

অভিযোগ রয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে কাকনের অনুসারীরা কয়েকটি ট্রলার নিয়ে এসে বালুমহাল দখলের চেষ্টা করলে টনি বিশ্বাসের লোকজন বাধা দেয়। এরপরই উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

টনি বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমি বৈধভাবে ইজারা নিয়ে বালুর খাজনা আদায় করছি। প্রতিপক্ষ কাকনের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে এতে বাধা দিয়ে আসছে। আজ সকালে তারা ট্রলার নিয়ে এসে হামলা চালায় ও গুলি ছোঁড়ে। এতে ছয় জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে কাকনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।

ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘পদ্মার বালুমহাল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে ছয় জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’’

ঢাকা/শাহীন/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত

এছাড়াও পড়ুন:

সুনামগঞ্জে ৬ ভাড়াটিয়াকে ঘরে রেখে তালা দিলেন মালিক 

সুনামগঞ্জে বাসা ভাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করায় ভাড়াটিয়া একটি পরিবারকে ঘরের ভিতরে রেখেই তালা দিলেন মালিক ইউসুফ চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে শহরের রায়পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চার বছর ধরে শহরের রায়পাড়া এলাকায় মাসে সাড়ে ৬ হাজার টাকায় একটি টিনের বাসা ভাড়া নিয়ে পরিবারের ৬ সদস্যসহ বসবাস করে আসছেন চানাচুর বিক্রেতা ইমন বর্মন। বাসা ভাড়া নেয়ার পর থেকে নিয়মিত মাসিক ভাড়া পরিশোধ করছেন তিনি। আর্থিক সমস্যার কারণে জুন মাসের ভাড়া পরিশোধ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। ভাড়া পরিশোধের সময় কয়েক তিন দিন অতিক্রান্ত হওয়ায় দুর্ব্যবহার করেন বাড়ির মালিক ইউসুফ চৌধুরী। সময় মতো ভাড়া পরিশোধে অপারগতা প্রকাশ করায় ভাড়াটিয়া ইমন, তার মা জবা বর্মনসহ ছয়জনকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। ভাড়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাদের ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হবে জানিয়ে অন্যত্র চলে যান। 

এ ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে ঘরে বন্দি অবস্থার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় বাচ্চু মিয়া বাসার মালিকের থেকে চাবি এনে তাদের উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। 

আরো পড়ুন:

যানজটমুক্ত ঢাকার স্বপ্ন: জুলাই থেকে নামছে ইলেকট্রিক বাস

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণ: হেলপার গ্রেপ্তার

ইমন বর্মন বলেন, ‘‘কয়েক বছর ধরে এই বাসায় ভাড়া থাকি। জুন মাসের ভাড়া পরিশোধ করতে দেরি হওয়ার আমি, আমার মাসহ ৬ জনকে ঘরে রেখে তালা মেরে চলে যান বাড়ির মালিক।’’ তিনি এ ঘটনার বিচার চান।

সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

ঢাকা/মনোয়ার/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ