কালো কুকুর

সে কেবল জুতো জোড়ার পাহারাদার

প্রকাণ্ড গাছের নিচে পাতা ঝরে। কামিনী। টগর। বকুল...

আড়ালে সবুজ বাংলো—যে পর্যন্ত এখনো আসিনি

এখনো রাস্তায় আছি

জুতো জোড়া আমার পায়ের মাপে নয়!

প্রচণ্ড প্রতিবাদে কালো কুকুর আমাকে ঘেউ ঘেউ করে

আকাশ হরিণ

বেশ রোদ আর কিছু কিছু মেঘ ভাসছে আকাশে

বরই চালতা কিংবা আমের আচার

আমসত্ত্ব বয়ামসহ রোদ খেতে নেমে পড়েছে

উঠোনে

তার পাশেই আকাশ হরিণের

ছায়া এসে পড়ে

তখন চোখ তুলে আকাশে তাকাতে নেই; তাকালেই

সে হরিণও মেঘ হয়ে যাবে

রিটার্ন অব মেটামরফোসিস

বিকেল তরঙ্গের ওপর বসে আছি; আমি আর গ্রেগর সামসা

ঝিঁঝি ডাকের মতো ঝিমঝিম করছে মাথা

কিংবা এই চরাচর ঝিম মেরে বসে আছে দিগন্ত পর্যন্ত

পোকা জীবন নিয়ে আমাদের যা কথা হচ্ছে

তা যেন বনপথে সান্ধ্যকালীন ঝিঁঝি ডাকের মতো জড়িয়ে

পেঁচিয়ে যাচ্ছে

আলাদা করা যাচ্ছে না

নিজেকেও আলাদা করা যাচ্ছে না সময়ী’র স-থেকে

আমি তাই পারব না পোকা জীবন নিতে

পোকার খোলসে ঢুকে

পারব না দিতে দীর্ঘ ঘুম

সিনেমা

ঘোড়া নড়ে উঠল—বন্দুকের ঘোড়া! মেঝেতে নিথর

শরীর পড়ে আছে

বাঁশবনে দাঁড়িয়ে সত্যজিৎ রায়—কথাটি সত্য নয়

তুমি তাকে এইমাত্র দেখেছ কাশবনের দিকে হেঁটে চলে যেতে

বিরহের শুটিং চলছে.

..

ওদিকে ক্যামেরার আড়ালে একটি পিঁপড়া

চিরুনির দাঁতে ছিঁড়ে যাওয়া তোমার চুল

নেইল কাটারে কেটে ফেলা আমার নখের দিকে টেনে আনছে

মিলনের গল্প বানাতে

আরব্যরজনীর দৈত্য

তুমি কি রান্না করো! তুমি কী রান্না করো!

প্রেসারকুকারের

তীব্র সিটি ও নির্জনতার মধ্যে আমাকে কি মনে পড়ে!

যদি তা–ই হয়—তাহলে রান্নাঘরে বাষ্পীভূত ধোঁয়া থেকে

জন্ম নেওয়া

আমি এ যুগের আরব্যরজনীর দৈত্য

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গুচ্ছ কবিতা: প্রেসারকুকারের তীব্র সিটি ও নির্জনতা

কালো কুকুর

সে কেবল জুতো জোড়ার পাহারাদার

প্রকাণ্ড গাছের নিচে পাতা ঝরে। কামিনী। টগর। বকুল...

আড়ালে সবুজ বাংলো—যে পর্যন্ত এখনো আসিনি

এখনো রাস্তায় আছি

জুতো জোড়া আমার পায়ের মাপে নয়!

প্রচণ্ড প্রতিবাদে কালো কুকুর আমাকে ঘেউ ঘেউ করে

আকাশ হরিণ

বেশ রোদ আর কিছু কিছু মেঘ ভাসছে আকাশে

বরই চালতা কিংবা আমের আচার

আমসত্ত্ব বয়ামসহ রোদ খেতে নেমে পড়েছে

উঠোনে

তার পাশেই আকাশ হরিণের

ছায়া এসে পড়ে

তখন চোখ তুলে আকাশে তাকাতে নেই; তাকালেই

সে হরিণও মেঘ হয়ে যাবে

রিটার্ন অব মেটামরফোসিস

বিকেল তরঙ্গের ওপর বসে আছি; আমি আর গ্রেগর সামসা

ঝিঁঝি ডাকের মতো ঝিমঝিম করছে মাথা

কিংবা এই চরাচর ঝিম মেরে বসে আছে দিগন্ত পর্যন্ত

পোকা জীবন নিয়ে আমাদের যা কথা হচ্ছে

তা যেন বনপথে সান্ধ্যকালীন ঝিঁঝি ডাকের মতো জড়িয়ে

পেঁচিয়ে যাচ্ছে

আলাদা করা যাচ্ছে না

নিজেকেও আলাদা করা যাচ্ছে না সময়ী’র স-থেকে

আমি তাই পারব না পোকা জীবন নিতে

পোকার খোলসে ঢুকে

পারব না দিতে দীর্ঘ ঘুম

সিনেমা

ঘোড়া নড়ে উঠল—বন্দুকের ঘোড়া! মেঝেতে নিথর

শরীর পড়ে আছে

বাঁশবনে দাঁড়িয়ে সত্যজিৎ রায়—কথাটি সত্য নয়

তুমি তাকে এইমাত্র দেখেছ কাশবনের দিকে হেঁটে চলে যেতে

বিরহের শুটিং চলছে...

ওদিকে ক্যামেরার আড়ালে একটি পিঁপড়া

চিরুনির দাঁতে ছিঁড়ে যাওয়া তোমার চুল

নেইল কাটারে কেটে ফেলা আমার নখের দিকে টেনে আনছে

মিলনের গল্প বানাতে

আরব্যরজনীর দৈত্য

তুমি কি রান্না করো! তুমি কী রান্না করো!

প্রেসারকুকারের

তীব্র সিটি ও নির্জনতার মধ্যে আমাকে কি মনে পড়ে!

যদি তা–ই হয়—তাহলে রান্নাঘরে বাষ্পীভূত ধোঁয়া থেকে

জন্ম নেওয়া

আমি এ যুগের আরব্যরজনীর দৈত্য

সম্পর্কিত নিবন্ধ