ধানমন্ডিতে দেবে গেছে রাস্তা, যান চলাচল বন্ধ
Published: 28th, May 2025 GMT
রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি রাস্তা দেবে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ধানমন্ডির শংকরে পদচারী-সেতুর ১৫ মিটার দক্ষিণ দিকে ৬৮ নম্বর বাড়ির সামনের রাস্তা দেবে গর্ত হয়ে যায়। এর পর থেকে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রকৌশলী জানিয়েছেন, হয়তো সম্প্রতি ডিপিডিসি মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুতের কাজ করার সময় ঠিকভাবে মেরামত করেনি। এ জন্য হঠাৎ রাস্তা দেবে গেছে।
মঙ্গলবার রাত ১০টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটির অঞ্চল–১–এর নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয় জানান, যে জায়গায় গর্ত হয়ে গেছে সেখানে ঢাকা ওয়াসার পানি সরবরাহের লাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখান দিয়ে অনবরত পানি বের হচ্ছে। এটি ঠিক করতে ওয়াসার লোকজন ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে গেছে। এরপর আমরা সড়ক মেরামত করব। যত দ্রুত সম্ভব আমরা সড়ক সচল করার চেষ্টা করছি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ধ নমন ড
এছাড়াও পড়ুন:
পশুর হাটে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধীর দুই নেতা গ্রেপ্তার
চাঁদাবাজির অভিযোগে কুড়িগ্রামের যাত্রাপুর পশুর হাটের ‘বৈধ’ ইজারাদার মাহাবুব রহমান ও তাঁর সহযোগী মো. আলমগীর গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রসিদ ছাড়া চাঁদা তোলার সময় যৌথ বাহিনীর হাতে তারা আটক হন। গতকাল বুধবার সকালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। সেখানে বৈধতার কাগজপত্র দেখালে শুনানি শেষে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তার মাহাবুব রহমান কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বেলগাছা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। মো. আলমগীর কুড়িগ্রাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক। গত মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে যাত্রাপুর গরুর হাটে রসিদ ছাড়া চাঁদা তোলার অভিযোগ ওঠে। পরে ফেনী জেলার মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন আজাদ হাটে টহলরত যৌথ বাহিনীর কাছে অভিযোগ করলে তাদের আটক করা হয়। আলমগীর পুরো ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এজাহারে বলা হয়, ফেনীর ছাগলনাইয়ার মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার মঙ্গলবার যাত্রাপুর হাট থেকে ১৭টি মহিষ কেনেন। পরে অভিযুক্তরা তাঁকে (আনোয়ার) গরু-মহিষ বিক্রির রসিদ শেডঘরে নিয়ে যান এবং প্রত্যেক মহিষের জন্য ৫০০ টাকা করে ৮ হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করেন। এ সময় আনোয়ার তাদের কাছে রসিদ চাইলে তারা তা দেখাতে পারেননি। আনোয়ার বিষয়টি যৌথ বাহিনীকে জানালে এ দু’জনকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ নাহিদ বলেন, ‘মাহাবুব রহমান ওই হাটের ইজারাদার। তিনি চাঁদাবাজ নন। আমার সঙ্গে মাহাবুব রহমানের কথা হয়েছে। তারা কাগজ প্রদর্শনের সময় পাননি। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের আটক করে যৌথ বাহিনী। সকালে কাগজপত্র দেখালে তাদের জামিন হয়।’
কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি মো. হাবিবুল্লাহ জানান, মাহাবুব রহমান যাত্রাপুর হাটের বৈধ ইজারা মালিক। তবে ওই সময়ে তাঁর কাছে কাগজপত্র না থাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করা হয়। সকালে থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেন ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মো. আলমগীর বলেন, দুপুরে যথাযথ কাগজ আদালতে দাখিল করে জামিনে মুক্ত হয়েছি। এটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র ছিল।