সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও গ্র্যান্ড প্যালেস হোটেলের মধ্যে চুক্তি
Published: 28th, May 2025 GMT
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এবং গ্র্যান্ড প্যালেস হোটেল ঢাকা’র মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। বুধবার দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ চুক্তি সই হয়।সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এবং গ্র্যান্ড প্যালেস হোটেল ঢাকা’র মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে।
ব্যাংকের কার্ড ডিভিশনের প্রধান মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান ও গ্র্যান্ড প্যালেস হোটেল ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার মশিউর রহমান চৌধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। এ সময় উপস্থিতি ছিলেন সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.
চুক্তির ফলে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডহোল্ডারগণ গ্র্যান্ড প্যালেস হোটেল ঢাকা’র বিভিন্ন সেবায় ১০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট সুবিধা পাবেন।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ও গ্র্যান্ড প্যালেস হোটেল ঢাকার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স শ য ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
মধুবালার প্রেমে পড়েছিলেন পাকিস্তানের যে প্রেসিডেন্ট
ভারত আর পাকিস্তানের শত্রুতার গল্প যেমন আছে তেমনি দুই দেশের মানুষের মধ্যে প্রেমের গল্পও আছে।জুলফিকার আলি ভুট্টো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ভারতের বিখ্যাত অভিনেত্রী মধুবালার প্রেমে পড়েছিলেন।
ভুট্টোর পারিবারিক একটা বিলাসবহুল ‘কুঠি’ বা বাংলো ছিল মুম্বাইয়ের ওরলি সি ফেস এলাকায়। ১৯৫৪ থেকে ১৯৫৮ সালের দিকেও ভুট্টো প্রায়ই ওই কুঠিতে থাকতেন। তার পুরো পরিবার অবশ্য আগেই পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল। ভুট্টো ভারতে থাকতেন এবং সেই সময়ে ‘মুঘল-ই-আজম’ সিনেমার শুটিং চলছিল বোম্বে, এখনকার মুম্বাইতে।
বলিউডের প্রখ্যাত সঙ্গীতকার নওশাদ সেই সময়ের কথা স্মরণ করে বলেছিলেন, “ওই সিনেমাতে 'মোহে পনঘট পে নন্দলাল ছোড় গেয়া রে' গানটির শুটিং হচ্ছিল। ভুট্টো ওই গানের শুটিং দেখতে আসতেন’’। ভুট্টো মধুবালার প্রতি এতো আকৃষ্ট হয়ে পড়েন যে, একদিন দুপুরে খাবার গ্রহণ করার সময় মধুবালার সামনে তার মনে জন্ম নেওয়া প্রেমের কথা প্রকাশ করেন এবং বিয়ের প্রস্তাব দেন।
আরো পড়ুন:
ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ
প্রভাসের নায়িকা হতে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নিলেন তৃপ্তি
মধুবালা নিজেকে যৌনতার প্রতীক হিসাবে মেলে ধরেননি। তিনি সব সময় সংবাদমাধ্যম আর সাধারণ মানুষকে তার জীবন থেকে দূরই রাখতেন। সিনেমার সেটে সময়মতো আসার অভ্যাস ছিল মধুবালার। অনেক সময় তিনি পরিচালকের আগেও সেটে পৌঁছে যেতেন। জানা যায়, মধুবালার দিন শুরু হতো ভোর পাঁচটায়।
‘মুঘল-এ-আজম’-এর নৃত্য পরিচালক লাচ্ছু মহারাজ এমন একজন নৃত্যশিল্পী চাইছিলেন, যিনি মুখের অভিব্যক্তি এবং হাতের ভঙ্গিমা দিয়েই গানের শব্দগুলোকে প্রাণবন্ত করে তুলতে পারবেন। এরপর খুঁজে নেন মধুবালাকে। কিন্তু তিনি শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী ছিলেন না। মধুবালা খুব পরিশ্রম করে নাচ আয়ত্ব করে নিয়েছিলেন। লাচ্ছু মহারাজ তাকে কয়েক মাস ধরে কত্থক শিখিয়েছিলেন। আর সেই নাচে মাতোয়ারা হয়েছিলো অনেকেই।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মুঘল-ই-আজম’-এর শুটিং দেখতে যে ভবিষ্যতের পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট ভুট্টো একাই আসতেন তা কিন্তু নয়। ওই সিনেমার সেটে এসেছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই, সৌদি আরবের শেখ সাউদ, পাকিস্তানের বিখ্যাত কবি ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ, বিখ্যাত ইতালীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা রবার্তো রোসেলিনি এবং ডক্টর জিভাগো আর লরেন্স অফ আরাবিয়ার পরিচালক ডেভিড লিন প্রমুখরাও।
এদিকে ভুট্টোর বিয়ের প্রস্তাব হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন মধুবালা। মধুবালার সাড়া না পেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন ভুট্টো।
ঢাকা/লিপি