ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী ও তৃণমূলের প্রাক্তন সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান। ব্যক্তিগত জীবনে অভিনেতা যশ দাশগুপ্তর সঙ্গে সংসার বেঁধেছেন।

গত ২১ মে গুঞ্জন উঠে, ভেঙে যাচ্ছে নুসরাত-যশের সংসার। তৎক্ষণাৎ এ গুঞ্জন মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন যশ। কিছু সময়ের জন্য এ আলোচনা বন্ধ হলেও তা স্থায়ী হয়নি। নানা ডালাপালা গজিয়েছে। এবার খবর উড়ছে, আলাদা বাড়িতে বসবাস করছেন যশ-নুসরাত।

ভারতীয় একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত ডিসেম্বর থেকে এক বাড়িতে থাকছেন না যশ-নুসরাত। কাজের জন্য একসঙ্গে সময় কাটান তারা। বাকি সময় আলাদা আলাদাই থাকেন। নায়কের প্রাক্তনকে কেন্দ্র করে যত সমস্যার সূত্রপাত। সেখান থেকে তাদের মাঝে অশান্তির শুরু। যশ তার পুরোনো বাড়িতে ফিরেছেন। আর নুসরাত থাকছেন তার পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে।

আরো পড়ুন:

টি-বয় থেকে ২৮০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেতা যশ

আমার স্ত্রী কখনো জানতে চায়নি কত টাকা আয় করি: যশ

এ তারকা দম্পতির ঘনিষ্ঠ একজন সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, “কোনো কিছুই রটনা নয়। মুম্বাইয়ে থাকাকালীন যশের পিছনে নাকি গুপ্তচরও লাগিয়েছিলেন নুসরাত। সেখান থেকেই সব সন্দেহের শুরু। একসঙ্গে থাকার জন্য নায়িকা বেশ কিছু শর্ত দিয়েছেন। কিন্তু তা মানতে নারাজ যশ।”

আলাদা থাকার চর্চা টলিউডে জোরালো হলেও ‘স্পিকটি নট’ যশ-নুসরাত। এ বিষয়ে কথা বলতে তাদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া মেলেনি বলে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে।

যশ-নুসরাত দুইজনেরই আগে আরেকটি সংসার ছিল। সাবেক স্বামী নিখিল জৈনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার আগেই যশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন নুসরাত। ২০২১ সালে পুত্রসন্তানের মা হন তিনি। এরপর সন্তানের বাবার পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠে, প্রচন্ড সমালোচনার মুখে পড়েন এই অভিনেত্রী।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর যশ

এছাড়াও পড়ুন:

বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক

‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’

আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।

বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।

এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।

বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
  • সব সিম লক রেখে কিস্তিতে স্মার্টফোন বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে অপারেটররা
  • আগামী বছর নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা: ধর্ম উপদেষ্টা
  • শাহরুখের ব্যাপারে সাবধান করলেন জুহি চাওলা
  • শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?