ঈদ উদযাপনে নিজস্ব ব্র্যান্ডের অরেঞ্জ ক্লাব সদস্যদের জন্য বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করেছে স্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর। বিশেষ এসব সুবিধা অরেঞ্জ ক্লাব সদস্যদের ঈদ করে তুলবে উপভোগ্য আর স্বাচ্ছন্দ্যময়। অতিথি আপ্যায়ন ও কোরবানির প্রস্তুতির সময়ে কেনাকাটাকে সহজ ও সুলভ করতে দেশের প্রচলিত ইলেকট্রনিকস সব ব্র্যান্ডের সঙ্গে অংশীজন হয়েছে অপারেটরটি।
ইলেকট্রোমার্ট, সিঙ্গার, বাটারফ্লাই, ওয়ালটন প্লাজা, যমুনা ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেড এবং এম কে ইলেকট্রনিকসের সব ব্র্যান্ড থেকে ফ্রিজ ও টিভির মতো প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক পণ্য কেনায় ক্লাব সদস্যরা এখন পাবেন বিশেষ সুবিধা। সীমিত সময়ের সুবিধায় বিশেষ কোডের মাধ্যমে ছাড় পাওয়া যাবে। সব ধরনের কেনাকাটা হবে সহজ। ক্লাব সদস্যরা যেন ঝামেলামুক্ত হয়ে কোরবানির প্রস্তুতি নিতে পারেন, তাই নির্বাচিত অ্যাগ্রো ব্র্যান্ডের সঙ্গে অংশীজন হয়েছে অপারেটরটি। ফলে নির্বাচিত ব্র্যান্ড থেকে পরিষেবা পাওয়া যাবে বিশেষ ছাড়। প্রয়াস অ্যাগ্রো ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, বগুড়া ও জামালপুরে বিনামূল্যে পশু পৌঁছে দেওয়া ছাড়াও পশুখাদ্য ও ছাড়কৃত পশু কোরবানি পরিষেবা দেবে। অন্যদিকে, যারা ঢাকায় শুদ্ধ খামার থেকে পশু কিনবেন, তারা উপভোগ করবেন ফ্রি হোম ডেলিভারি, বিনামূল্যে পশুখাদ্য আর বিশেষ সুবিধা। থাকছে সহজ শর্তে পেমেন্ট সুবিধা, হোম ডেলিভারি ছাড়াও সময়োপযোগী ঈদ অফার।
বাংলালিংকের ডিরেক্টর অব মার্কেটিং অপারেশনস মেহেদী আল আমীন উদ্যোগ প্রসঙ্গে বলেন, ঈদুল আজহা আত্মত্যাগ, একতা আর উদারতার কথা বলে। ক্লাবের মাধ্যমে গ্রাহকের ঈদের প্রস্তুতি স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে কাজ করছি, যেন তারা প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দময় সময় কাটাতে পারেন। বাসায় কোরবানির পশু পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে গ্রাহক যেন বাসাকে নতুন করে তুলতে পারেন, সে উদ্দেশ্যেই এমন উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা ঈদ উদযাপনে গ্রাহকের স্বাচ্ছন্দ্য ও সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করছি। অর্থবহ অংশীদারিত্ব ও সময়োপযোগী উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রাহকের জীবনকে সহজ ও উপভোগ্য করে তুলতে অপারেটরটি এখন ঈদ নিয়ে কাজ করছে। যার প্রধান উদ্দেশ্য গ্রাহকের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা হবে বলে জানানো হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক রব ন র প ক ল ব সদস ল ব সদস য গ র হক র

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর শরীরে ত্বকের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। বমি ও নিম্ন রক্তচাপের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শরীরে ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

আরো পড়ুন:

৬ বছর পর ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ প্লে-অফে বলিভিয়া

মারাকানায় ব্রাজিলের বড় জয়

প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একদিন পর তার ত্বকের ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে।

বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তার ত্বকের পরীক্ষা করে ‘স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা’ শনাক্ত হয়েছে।এটি ত্বকের মাঝারি মাত্রার ক্যানসার, যা সবচেয়ে হালকা ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ধাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে।

চিকিৎসকরা বলেছেন যে, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৭০ বছর বয়সী বলসোনারো গত মঙ্গলবার বমি এবং নিম্ন রক্তচাপের কারণে ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ক্যানসারের বিষয়টি গত রবিবারের পরীক্ষায় ধরা পড়ে, যখন তার বুক ও হাতে থাকা ক্ষতস্থানের টিস্যু অপসারণ করা হয়েছিল।

তার অনকোলজিস্ট ক্লাউদিও বিয়ারোলিনি জানিয়েছেন, বলসোনারোর ক্যানসার ‘ইন সিটু’ ধাপে রয়েছে, অর্থাৎ অস্বাভাবিক কোষগুলো এখনো ছড়িয়ে পড়েনি। অস্ত্রোপচারই এর চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট হবে। বর্তমানে বলসোনারোর শরীরে সেলাই ও ব্যান্ডেজ রয়েছে, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন, যেখানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

বলসোনারো ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই গৃহবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের নির্দেশ অনুযায়ী, গৃহবন্দিত্বে থাকলেও চিকিৎসা জরুরি হলে তিনি বাসার বাইরে যেতে পারেন। তবে প্রতিবারই তার আইনজীবীদের আদালতে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।

বলসোনারোর সমর্থকরা তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন, যাতে তিনি কারাগারে না গিয়ে বাড়িতেই সাজা ভোগ করতে পারেন। তাদের দাবি, কারাগারে নিলে তার শারীরিক জটিলতা বা দুর্ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়বে।

তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “আমার বাবা আগেও কঠিন লড়াই লড়ে জয়ী হয়েছেন। এবারও ভিন্ন কিছু হবে না।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ